অনলাইন ডেস্ক :
সেই একই প্রতিপক্ষ। একইরকম শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই। শত চেষ্টার পরও প্রতিপক্ষের দেয়াল ভাঙতে না পারার জ¦ালা। অবশেষে আরও একবার টাইব্রেকারে স্নায়ুচাপকে জয় করে ট্রফি উঁচিয়ে ধরার উল্লাস। স্নায়ুক্ষয়ী লড়াইয়ে চেলসিকে হারিয়ে এফএ কাপ জয়ের পর লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ ভুয়সী প্রশংসা করলেন শিষ্যদের দৃঢ় মানসিকতার। মৌসুমের দ্বিতীয় শিরোপা ও ক্যারিয়ারে প্রথমবার এফএ কাপ জয়ের পর নিজের অনুভূতি প্রকাশে অল্প কথায় জার্মান কোচ বললেন, ‘এটা বিশাল এক পাওয়া।’ লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কেউ পায়নি গোলের দেখা। পরে টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে জিতে উৎসবে মাতে লিভারপুল। এবারের আগে লিভারপুল সবশেষ এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছিলএক দশক আগে। ২০১১-১২ আসরের সেই শিরোপা লড়াইয়ে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটির বিপক্ষেই তারা হেরেছিল ২-১ গোলে। পুরনো সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার পাশাপাশি ২০০৬ সালের পর প্রথম এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলো ‘অল রেড’ নামে পরিচিত দলটি। অসাধারণ এই অর্জনের পরপরই উচ্ছ্বাসভরা কণ্ঠে মৌসুমের বাকি সময়ে আরও প্রাপ্তির হাতছানির কথা বললেন ক্লপ। “এই মুহূর্তে এই ক্লাবের অংশ হতে পারাটা সত্যিই বড় আনন্দের। আরও অনেক কিছু বাকি আছে, পাওয়ার আছে অনেক কিছু। রাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেবল এই মুহূর্ত উদযাপন করব, পরের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবব না। এটা সত্যিই বিশেষ কিছু।” গত ফেব্রুয়ারিতে এই চেলসিকে হারিয়েই লিগ কাপের শিরোপা জিতেছিল লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও ওঠা দলটির সামনে আছে অনন্য ‘কোয়াড্রপল’ জয়ের হাতছানি। প্রিমিয়ার লিগে যদিও তারা বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে। দুই রাউন্ড বাকি থাকতে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে সাদিও মানে-মোহামেদ সালাহরা। ব্যস্ত সুচিতে ঠাসা মৌসুমে সবগুলো প্রতিযোগিতায় সমানভাবে হার না মানসিকতায় লড়ে যেতে যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে খেলোয়াড়রা, তাতে দারুণ খুশি ক্লপ। “সবকিছুই সম্ভব হয়েছে এই খেলোয়াড়দের মানসিকতার জন্য। এটাই একমাত্র কারণৃআমি যতটা চাই অনুপ্রেরণা যোগাতে পারি, কিন্তু এই ছেলেরা যদি দুর্বল বা নড়বড়ে হয়ে পড়ে, তাহলে এমন একটা লিগে সিটির সঙ্গে লড়াইয়ের কোনো সুযোগই থাকবে না।” “(এফএ কাপ জয়) এই অর্জন ‘আউট অব দিস ওয়ার্ল্ড।’ অনেক বড় পাওয়া। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিাপূর্ণ মৌসুমে এটা ৬০তম ম্যাচ এবং এখানে এমন পারফরম্যান্স করা অবিশ্বাস্য।” ওয়েম্বলিতে লিগ কাপের সেই ফাইনালেও নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে স্কোরলাইন ছিল গোলশূন্য। পরে পেনাল্টি শুটআউটে ১১-১০ গোলে জিতেছিল ক্লপের দল। টানা দুটি শিরোপা জয়ের পথে টাইব্রেকারে এমন সাফল্যের পরও বিশেষ এক প্রতিষ্ঠানের কথা তুলে ধরলেন ক্লপ, নিউরোসায়েন্স কোম্পানি ‘নিউরো ১১’। পরিসংখ্যান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি লিভারপুলের খেলোয়াড়দের অনুশীলনে সহায়তা করছে বলেও জানালেন কোচ। “পেনাল্টি শুটআউট লটারির মতো; কিন্তু আমরা সেটা আবারও করে দেখিয়েছি। আমরা নিউরো-১১ নামের একটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছি। তাদের একজন নিউরোসায়েন্টিস্ট, যারা বলেছিল যে তারা পেনাল্টি শুটআউট নিয়ে অনুশীলন করাতে পারে-এই ট্রফি তাদের জন্য, যেমনটা লিগ কাপও ছিল।” লিগ কাপের পর এফএ কাপ, দুইয়ে দুই হলো সারা। এবার আবারও প্রিমিয়ার লিগের চ্যালেঞ্জ। আগামীকাল মঙ্গলবার সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে খেলবে লিভারপুল।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা