অনলাইন ডেস্ক :
চিত্রনায়িকা পরীমনি ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো এফডিসিতে কোরবানি দিয়ে সবাইকে চমকে দেন এই অভিনেত্রী। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, যত দিন বেঁচে থাকবেন এফডিসিতে কোরবানি দেবেন। চলচ্চিত্রের অসচ্ছল সহশিল্পীদের মাঝে মাংস বিতরণ করবেন। এই কথার ধারাবাহিকতা একটানা ধরে রেখেছিলেন পরীমনি। সর্বশেষ ২০২১ সালে ছয়টি গরু কোরবানি দেন এই নায়িকা। কিন্তু সে বছর এফডিসির ভেতর কোরবানি দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরীমণি বাইরে কোরবানি দেন। এর পরের বছর অর্থাৎ দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০২২ সালে কেউই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) কোরবানি দেয়নি। একটানা ছয় বছর এফডিসিতে কোরবানি দিয়েছিলেন এ চিত্রনায়িকা। তার এই মানবিক কাজ প্রশংসিত হয়েছে অসংখ্যবার।
তবে সে বছর পরী নিজেও কোরবানি দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। কী কারণে সে কথা স্পষ্ট করেননি তিনি। সামনে আসছে ঈদুল আজহা। এবার কোরবানি নিয়ে কী ভাবছেন অভিনেত্রী? এমন প্রশ্নে পরীমনি বলেন, অবশ্যই কোরবানি দেব। তবে এফডিসির জন্য নয়, নিজের পরিবারের জন্য। পরীমনির কথায় স্পষ্ট, তার মনের ভেতর জমা অনেক চাপা কষ্ট। যে প্রিয় কর্মস্থল এফডিসির জন্য এক ধরনের শপথ নিয়েছিলেন প্রতিবছর কোরবানি দেওয়ার সেই জায়গা থেকে কিছুসংখ্যক মানুষের প্রতি ক্ষোভ থাকায় অভিমান করে মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়েছে তাকে। এর কারণ হয়তো ২০২১ সালে পরীকে এফডিসিতে কোরবানি দিতে দেওয়া হয়নি। সেদিন এফডিসিতে প্রবেশে বাধা পেতেও হয়েছিল তাকে। এরপর থেকেই এফডিসির অসচ্ছল সহকর্মীদের জন্য কোরবানি দিচ্ছেন না তিনি। অথচ পরীমনির হাত ধরেই এফডিসিতে কোরবানি দেওয়ার রীতি চালু হয়েছিল।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ