অনলাইন ডেস্ক :
ঋদ্ধিমান সাহা একটি ম্যাসেজের স্ক্রিনশট প্রকাশ করার পর থেকে ভারতীয় ক্রিকেটে চলছে তুমুল আলোচনা। সাবেক সতীর্থ থেকে শুরু করে অনেকেই দাঁড়িয়েছেন অভিজ্ঞ এই কিপার-ব্যাটসম্যানের পাশে। এবার এগিয়ে এসেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড- বিসিসিআইও। ঋদ্ধিমান একটি ম্যাসেজের স্ক্রিনশট টুইট করেন গত শনিবার, যে দিন শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল দেয় ভারত। সিরিজের টেস্ট দলে তিনি জায়গা হারানোর পর একজন সাংবাদিক তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি এই কিপার-ব্যাটসম্যান। এরপর ঋদ্ধিমানকে কলও করেন ওই সাংবাদিক। তাতেও কোনো উত্তর না পেয়ে ম্যাসেজে লিখেন, “আপনি কল (ব্যাক) করলেন না। আমি আর কখনোই আপনার সাক্ষাৎকার নেব না এবং এটা আমি মনে রাখব। এটা আপনার করা উচিত হয়নি।” স্ক্রিন শট নিয়ে এসব ম্যাসেজ টুইট করেন ঋদ্ধিমান। এসব দেখে তার পাশে দাঁড়ান রবি শাস্ত্রী, বিরেন্দর শেবাগ, হরভজন সিংয়ে মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। একই সঙ্গে ওই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করারও আহ্বান জানান। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ অরুন ধুমাল বলেন, তারাও এগিয়ে আসতে চান ঋদ্ধিমানের পাশে দাঁড়াতে। একই সঙ্গে ঋদ্ধিমানকে কোনো ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে কিনা, জানতে চান পেছনের সব কিছু। “হ্যাঁ, টুইটটি নিয়ে ঋদ্ধিমানের সঙ্গে আমরা কথা বলব এবং জিজ্ঞেস করব, মূল ঘটনাটা কী? আমাদের জানা জরুরি যে, তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে কিনা। একই সঙ্গে টুইটের পেছনের গল্প ও প্রসঙ্গ জানতে হবে। আমি এর বেশি বলতে পারছি না। সচিব (জয় শাহ) নিশ্চিতভাবেই তার সঙ্গে কথা বলবেন।” তবে সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নন ঋদ্ধিমান। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, মূলত এসব থেকে যেন সবাই সর্তক থাকে এই উদ্দেশ্যেই তার ওই টুইটটি করা। “এখনও বিসিসিআই থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তারা যদি আমাকে নামটি (সাংবাদিকের) প্রকাশ করতে বলে, আমি বলব কারো ক্যারিয়ারের ক্ষতি করা, একজনকে নিচে নামানো আমার উদ্দেশ্য ছিল না। তাই আমি আমার টুইটে নাম প্রকাশ করিনি। আমার বাবা-মা আমাকে এই শিক্ষা দেননি। আমার টুইটের মূল উদ্দেশ্য ছিল, গণমাধ্যমে এমন কেউ একজন আছেন যিনি এসব কাজ করেন এবং খেলোয়াড়ের ইচ্ছাকে অসম্মান করেন; তা প্রকাশ করা।” “টুইটের মাধ্যমে যেটা বলতে চেয়েছি, এই কাজটি (তার করা) ঠিক হয়নি। যিনি এমনটা করেছেন, তিনি তা ভালো করেই জানেন। আমি ওই টুইটটি করেছি, কারণ আমি চাইনি ক্রিকেটাররা (আর) এমন কিছুর মুখোমুখি হোক। আমি এই বার্তাটি দিতে চেয়েছিলাম যে, যেটা করা হয়েছে তা ছিল ভুল এবং অন্য কেউ তা যেন না করে।” দল থেকে বাদ পড়ে কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে নিয়ে মন্তব্য করে তুমুল আলোচনার জন্ম দেন ঋদ্ধিমান। তার দাবি ছিল, সৌরভ নাকি তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন, আর দ্রাবিড় তাকে অবসর নেওয়া পরামর্শ দিয়েছিলেন। ভারতের কোচ সেটা স্বীকার করে এর কারণ ব্যাখ্যা করে এরই মধ্েয তার অবস্থার পরিষ্কার করেছেন।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা