অনলাইন ডেস্ক :
বাছাইয়ের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যদি-কিন্তুর উপর ঝুলে আছে বাংলাদেশের ভাগ্য। শেষ ম্যাচ জিতলেও অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে জামাল ভুঁইয়াদের। কিন্তু দুটি ম্যাচের একটিতে জেতা স্বাগতিক মালয়েশিয়ার সামনে রয়েছে বড় সুযোগ। বাংলাদেশকে হারাতে পারলে খুলে যেতে পারে তাদের মূল পর্বের দরজা। সেদিক থেকে কোনো চাপে নেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা মনে করছেন সব চাপ মালয়েশিয়ার ওপর। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টায় কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের কাছে ২-০ এবং পরের ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। অপরদিকে মালয়েশিয়া প্রথম ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জিতলেও পরের ম্যাচে বাহরাইনের কাছে হেরে গেছে ১-২ ব্যবধানে। দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপ সেরা হওয়ার পথে এগিয়ে আছে বাহরাইন। আর সেরা পাঁচ রানার আপ হওয়া দৌড়ে আছে মালয়েশিয়া। ফিফা র্যাংকিংয়েও তারা বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে। বাংলাদেশ ১৮৮ এবং মালয়েশিয়া ১৫৪। তাই কালকের ম্যাচে স্বাগতিকরাই বেশি চাপে থাকবে বলছেন হাভিয়ের কাবরেরা, ‘আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। সব চাপ মালয়েশিয়ার ওপর। তারা তাদের ঘরের মাঠে খেলবে, র্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে, এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ তাদের সামনে। আবারও বলছি আমাদের সামনে দারুণ সুযোগ আমাদের জন্য এটাই সঠিক সময় দেখানোর যে আমরা যে কারও বিপক্ষে লড়তে পারি। আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে লড়তে চাই তবে একটা জিনিস বলতে চাই আমাদের সত্যি ভালো একটা ফল প্রাপ্য। আমাদের সমর্থকদের ভালো একটা ফল উপহার দিতে চাই। ভালো একটা ফল নিয়ে দেশে ফিরতে চাই, দেশকে কিছু একটা উপহার দিতে চাই। আমরা আমাদের সুযোগের ওপর ভরসা রাখতে চাই। কাল আমরা আমাদের সেরাটাই উপহার দেব। ‘মূল পর্বে যেতে হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই মালয়েশিয়ার সামনে। তাই শুরুতেই গোল করে ম্যাচ শেষ করে দিতে চাইবে স্বাগতিকরা। এ কারণে একটু বেশিই সতর্ক বাংলাদেশ কোচ, ‘আমরা সবসময়ই জিততে চাই। সব সময়ই এটা আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু জিততে হলে খেলায় আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। প্রতিটা জায়গাতেই ধারাবাহিক হতে হবে। মালয়েশিয়া তাদের সর্বস্ব দিয়ে লড়বে। শুরুর সেকেন্ড থেকেই তারা আমাদের ওপর ঝাঁপাবে। শুরুর ১০ মিনিটেই তারা ম্যাচটা শেষ করে দিতে চাইবে। আমাদের গোল করতে হবে, মনোযোগ ধরে রাখতে হবে, তাদের ঠেকিয়ে রেখে তাদের ভুলের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। ‘স্বাগতিকদের ম্যাচ তাই বুকিত জলিল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ঠাঁই ফেলানোর জায়গা থাকবে না। এত দর্শকের সামনে খেলতে পারা বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাবে খেলোয়াড়দের মনে করছেন কাবরেরা,’স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ম্যাচ, কঠিন একটা চ্যালেঞ্জ। আমাদের জন্য ৭০ হাজার দর্শকের সামনে খেলতে পারাটা শুধু অতিরিক্ত অনুপ্রেরণাই নয়, অনেক ফুটবলারের জন্য এটা স্বপ্নের মতো। এত দর্শকের সামনে, এমন একটা পরিবেশ, এমন একটা দলের বিপক্ষে খেলা যারা বড় কিছুর প্রত্যাশায় লড়ছে। আমাদের জন্য এটাই সঠিক সময় দেখানোর যে আমরা যে কারও বিপক্ষে লড়তে পারি। ইন্দোনেশিয়াসহ শেষ তিন ম্যাচে আমরা যে পারফরম্যান্স করেছি সেটা ধরে রাখতে হবে। ‘
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা