অনলাইন ডেস্ক :
১৬০ রানের লক্ষ্য এমনিতেই খুব কঠিন ছিল না। তা আরও অনায়াস হয়ে গেল এভিন লুইসের ব্যাটিং তান্ডবে। ৫১ বলের সেঞ্চুরিতে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসকে জিতিয়ে দেন বিস্ফোরক এই ওপেনার। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে এই ইনিংস খেলে দলকে সেমি-ফাইনালে তুলে নেন লুইস। সেন্ট কিটসে টস জিতে বোলিংয়ে নেমে ত্রিনবাগোকে ১৫৯ রানে আটকে রাখে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। ত্রিনবাগোর হয়ে তিনে নেমে কলিন মানরো করেন ৩৪ বলে ৪৭, সাতে নেমে সুনিল নারাইন ১৮ বলে অপরাজিত ৩৩। রান তাড়ায় লুইস ও ক্রিস গেইলের ঝড়ো সূচনা অনেকটাই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। প্রথম ওভারে বাউন্ডারিতে শুরু করেন লুইস। তবে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তাকে দ্রুত ছাড়িয়ে যান গেইল। ৫ ওভার শেষে গেইলের রান যখন ১৫ বলে ২৫, লুইসের তখন ১৫ বলে ১৭। ষষ্ঠ ওভারে পেসার আলি খানের বলে চার-ছক্কা মেরে হাত খোলেন লুইস। ওই ওভারে একটি করে ছক্কা-চার মেরে আউটও হয়ে যান গেইল। কিন্তু লুইস থামেননি। তিনে নামা ডেভন টমাস অষ্টম ওভারে বিদায় নেন ১ রান করে। কাইরন পোলার্ডের ওই ওভারেই লুইস ২৯ রানে জীবন পান আকিল হোসেনের হাতে। সেটির চড়ামূল্য দিতে হয় ত্রিনবাগোকে। বেঁচে গিয়ে ওই ওভারে দুটি ছক্কা মারেন লুইস। পরের ওভারে আকিল হোসেনকেও ওড়ান দুটি ছক্কায়। ফিফটি স্পর্শ করেন ২৬ বলে। এরপর কিছুক্ষণ শান্ত থেকে আবার ছক্কার ¯্রােতে এগিয়ে যান। অ্যান্ডারসন ফিলিপকে ছক্কা মেরেই সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ৫১ বলে। সেঞ্চুরি ছোঁয়ার ওভারেই ধরা দেয় জয়। ৫ চার ও ১১ ছক্কায় লুইস অপরাজিত থাকেন ৫১ বলে ১০২ রান করে। তৃতীয় উইকেটে রবি বোপারার সঙ্গে ৪৩ বলে ৮৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তিনি। অবিশ্বাস্যভাবে, সেখানে বোপারার অবদান কেবল ১৩ বলে ৭ রান! লুইস জুটিতে করেন ৩০ বলে ৭০। টি-টোয়েন্টিতে লুইসের পঞ্চম সেঞ্চুরি এটি, তবে ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর প্রথম।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা