দেশের আরও ছয়টি তৈরি পোশাক কারখানা চলতি মাসে এলইইডি সনদের স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মধ্যদিয়ে দেশে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত কারখানার সংখ্যা ২২৬টিতে দাঁড়াল।
চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এলইইডি সার্টিফিকেশন কারখানার সংখ্যা ছিল ২২০টি। গত পাঁচ মাসে আরও ১৪টি কারখানা এই সনদ অর্জন করেছে।
লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন) একটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গ্রিন বিল্ডিং রেটিং সিস্টেম, যা পরিবেশগত দায়বদ্ধতা এবং জ্বালানি দক্ষতার ওপর গুরুত্বারোপ করে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ইউএনবিকে বলেন, এলইইডি সনদের স্বীকৃতি পোশাক খাতে সবুজ উদ্যোগের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
বিজিএমইএর তথ্যানুসারে, সনদপ্রাপ্ত ২২৬টি কারখানার মধ্যে ৮৯টি সর্বোচ্চ প্লাটিনাম রেটিং অর্জন করেছে। আর ১২৩টি স্বর্ণ, ১০টি রৌপ্য এবং ৪টি সনদ পেয়েছে।
নতুন সনদপ্রাপ্ত শীর্ষ দুটি কারখানা হলো ঢাকার আশুলিয়ার দিয়াখালী ও মোল্লা বাজারে অবস্থিত সাদাতিয়া সোয়েটার্স লিমিটেড এবং গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলায়েদ এলাকায় অবস্থিত এক্সিকিউটিভ গ্রিনটেক্স লিমিটেড প্লাটিনাম ও গোল্ড ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে ৯১ ও ৬৯ স্কোর অর্জন করেছে।
বিজিএমইএ অনুসারে, এই অর্জন বিশ্বব্যাপী টেকসই ফ্যাশন আন্দোলনে বাংলাদেশকে শীর্ষস্থানে তুলে এনেছে। বিশ্বব্যাপী এলইইডি-প্রত্যয়িত ১০০টি সবুজ কারখানার মধ্যে ৬০টি বাংলাদেশে অবস্থিত।
বিজিএমইএর তথ্যানুসারে, বিশ্বব্যাপী এলইইডি সনদপ্রাপ্ত শীর্ষ ২০টি কারখানার মধ্যে ১৮টিই রয়েছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই সার্টিফিকেশনগুলোর ভৌগলিক বণ্টন তৈরি পোশাক শিল্পের টেকসই প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
বিজিএমইএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের চ্যালেঞ্জ এবং বর্তমান জাতীয় ও ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাবলী সত্ত্বেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সহনশীলতা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে চলেছে।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এলইইডি সার্টিফিকেশন অর্জনের এই অগ্রগতি পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং নির্ভরযোগ্য সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে এই শিল্পের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরে।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আমাদের কার্যক্রমের স্থায়িত্বকে ধারাবাহিকভাবে অগ্রাধিকার দিয়েছি। একই সঙ্গে এটিও নিশ্চিত করে যে , আমাদের প্রবৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী সর্বোত্তম অনুশীলন এবং পরিবেশগত ন্যস্ত দায়িত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি