November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, November 3rd, 2022, 7:04 pm

এলএনজি আমদানি স্থগিত সত্ত্বেও সরবরাহকারী সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সরকারের

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি স্থগিত থাকা সত্ত্বেও তালিকাভুক্ত এলএনজি সরবরাহকারীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) ভার্চুয়াল বৈঠকে এ বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়।

১৬টি কোম্পানির বিদ্যমান তালিকায় নতুন আটটি কোম্পানি যুক্ত হয়েছে। নতুন কোম্পানিগুরো হলো-জাপানের দুটি কোম্পানি এলএনজি জাপান করপোরেশন ও ইনপেক্স করপোরেশন;সোকার ট্রেডিং ইউকে লিমিটেড; কোরিয়ার পিওএসসিও ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন; কাতার এনার্জি ট্রেডিং এলএলসি; সিঙ্গাপুরের তিনটি কোম্পানি প্যাভিলিয়ন এনার্জি ট্রেডিং অ্যান্ড সাপ্লাই পিটিই লিমিটেড ;পেট্রোচায়না ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড এবং পিটিটি ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং পিটিই লিমিটেড।

তবে,সরকার তাৎক্ষণিকভাবে আমদানি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করবে কি না,তা স্পষ্ট নয়।

এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে অত্যাধিক দাম বৃদ্ধির কারণে জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি স্থগিত করে সরকার।

যুদ্ধের আগে বাংলাদেশ স্পট মার্কেট থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ছয় থেকে দশ ডলারের মধ্যে এলএনজি কিনতো। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রতি এমএমবিটিইউ দাম ৩৭ মার্কিন ডলার অতিক্রম করে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আবার দাম হ্রাস প্রবণতা শুরু হয়েছে।

গত মাসে,দাম এমএমবিটিইউ প্রতি ২৪ ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির পাশাপাশি, তুলনামূলকভাবে অনেক কম দামে গ্যাস আমদানির জন্য কাতার ও কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি রয়েছে।

যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারে তরল জ্বালানির দামের ওপর নির্ভর করে প্রতি এমএমবিটিইউ ১১ থেকে ১৭ মার্কিন ডলারের মধ্যে পরিবর্তিত হয়।

—-ইউএনবি