চার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে পৃথক দুটি ধারায় ১১ বছরের কারাদণ্ড ও ৪৫ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি বিশেষ আদালত। একই সাথে সিনহার জব্দ করা ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ (আদালত-৪) বিচারক শেখ নাজমুল আলম খান এ রায় দেন।
আদালত মামলার অপর আট আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সাফিউদ্দিন আসকারী, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, মো. লুৎফুল হক, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
এদের মধ্যে একেএম শামীমের চার বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি আসামিদের তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদক সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এবং অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ আহরণ এবং চার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে ৫ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। ঢাকার বিশেষ জজ (কোর্ট-৪) শেখ নাজমুল আলম খান ছুটিতে যাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক আলী হোসেন নতুন তারিখ হিসেবে ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন।
গত ২৯ অগাস্ট আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে ১১ জন আসামির মধ্যে সাতজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
তারা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায় এবং মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।
২৪ আগস্ট প্রতিরক্ষা আইনজীবীর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মামলায় প্রায় ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম