জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে একটি খামারের ২০০টি হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারী রাজু আহমেদ (২৮)। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
জানা যায়, খামার মালিক রাজু আহমেদ বাড়ির পাশেই দশ বছর ধরে হাঁসের খামার করে গরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহ করছিলন। প্রায় ছয় মাস আগে ৫০০ হাঁসের বাচ্চা নিয়ে তিনি খামার শুরু করেন। ১দিন বয়সের হাঁসের বাচ্ছা কিনে ৬ মাস লালন পালনে তার খরচ দাড়ায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার সকালে খামারের পাশের জমিতে ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে কে বা কারা প্রায় ২শত হাঁস মেরে ফেলেছে। ২০০ হাঁস হারিয়ে তিনি এখন পথে বসেছেন।
খামারের মালিক রাজু আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, আমার পাশের খামারী বাছিরপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে লিটন মিয়া প্রায় সময় আমার হাঁস চুরি করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে আশেপাশের মানুষ জন বেশ কয়েকবার বিচারও করেছেন। গতকাল হাঁসের খামার নিয়ে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে। লিটন মিয়াই আমার এ ক্ষতি করতে পারে। আমি পুলিশের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও ক্ষতি পূরন দাবি করছি। অভিযোগের বিষয়ে লিটন মিয়া জানান, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নয়। তবে পাশের খামারী হিসেবে এখন পর্যন্ত ঘটনা দেখতে গেছেন কিনা প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এলাকাবাসীর সন্দেহের তীর লিটন মিয়ার দিকে। সদর জায়ফর নগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মাসুম রেজা বলেন, বিষটোপ দিয়ে হাঁস নিধনের ঘটনা নতুন নয়। তিনি ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্হির দাবি জানান।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে। তাই বলে হাঁস মেরে প্রতিশোধ নিতে হবে? এ কেমন নিষ্ঠুরতা! এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে এসআই সৈয়দ আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি