November 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, July 7th, 2021, 8:40 pm

ওএমএসের পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভিড়

টিসিবির পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষের অপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাজারে চাল ও আটার দামে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। সে কারণে সাশ্রয়ী দামে পণ্য দুটি কিনতে খাদ্য অধিদপ্তরে ওএমএসের (ওপেন মার্কেট সেল) দিকে ছুটছেন তারা। এতে করে করোনার সময় বেড়েছে ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি। ৩০ টাকা কেজিতে চাল ও ২৩ টাকা কেজিতে আটা কিনতে ক্রেতারা ওএমএসের ট্রাকে ছুটছেন। কেউ কেউ ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই নির্ধারিত স্থানে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। ডিলার অথবা ট্রাক সেল সবখানেই এখন দীর্ঘ লাইন দিয়ে বিক্রি হচ্ছে পণ্য। গতকাল বুধবার রাজধানীর রামপুরা, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

রামপুরা লোহার গেট এলাকায় ওএমএসের চালের জন্য লাইনে দাঁড়ানো শাহাবুদ্দিন বলেন, চালের জন্য সকাল ৯টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি। ১০টার দিকে চাল বিক্রি শুরু হয়। পাঁচ কেজি চালের জন্য এক-দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়। এরপরও চাল কিনতে পারলে খুশি। মোহাম্মদপুর বসিলা রোডে ওএমএসের ট্রাকের সামনে জামিলা বেগম বলেন, ৩০ টাকা করে পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারলে, বাজারে থেকে ১০০ টাকা কম দাম পড়ে। এজন্য ওএমএসের চাল কিনি। এখন যে চাল দেয়া হচ্ছে, সেটি মানে ভালো। এদিকে, ক্রেতার চাপ বেশি থাকায় কিছুটা কম দামে জীবন ধারণের অপরিহার্য এ দুটি পণ্যর চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ডিলাররা। ওএমএসের চাল ও আটা বরাদ্দ পাওয়া রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লকডাউনের পর থেকে ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশি। তারা যে চাল ও আটা বরাদ্দ পাচ্ছেন, তা অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। ডিলারদের দাবি, ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় বরাদ্দের পরিমাণ কম। বর্তমানে একজন ডিলার সর্বোচ্চ দেড় মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা বরাদ্দ পান। এ বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো যাবে। চাল ও আটার বিক্রি পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রামপুরার ওএমএস ডিলার খলিল বলেন, এখন চাল ও আটার জন্য ক্রেতাদের অনেক চাহিদা। আমি এক হাজার ২০০ কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা পাই। এ চাল ও আটা দেখতে দেখতে বিক্রি হয়ে যায়। ক্রেতাদের যে চাহিদা আমাকে তিন মেট্রিক টন (৩ হাজার কেজি) চাল দিলেও একদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আরেক ডিলার বলেন, বাজারে এখন চাল ও আটার চাহিদা অনেক বেশি। এ কারণে নিম্ন আয়ের মানুষরা ওএমএসের চাল কিনতে ছুটে আসছে। করোনা শুরুর পর থেকেই চাল-আটার জন্য মানুষের চাহিদা দেখছি। অনেকে সকাল ৬টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। ক্রেতাদের যে চাহিদা তাতে চাল ও আটা বিক্রি করতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়।