ভারতে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে নানান কঠোরতায় বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে আবারও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত কমেছে।
এদিকে, ভারত যেতে সড়ক পথে ভিসার আবেদন করলেও মিলছে আকাশ পথের ভিসা। একদিকে আকাশ পথে বিমান ভাড়া তিন গুণেরও বেশি আবার এক সপ্তাহের আগে মিলছে না টিকিট। সেই সাথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সেই সাথে ডবল ডোজ টিকা নেয়ার পরও একবার ভারতে যেতে দুই বার করোনা পরীক্ষা করাতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে এলেও চেকপোস্টে নানাভাবে অর্থ আদায়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় পাসপোর্টযাত্রীদের।
এতে জরুরি প্রয়োজনে সময় মতো যাতায়াত করতে না পেরে চিকিৎসা, ব্যবসা ও শিক্ষাখাত বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাসপোর্টযাত্রীরা। গত সপ্তাহে দিনে যাত্রী যাতায়াতের পরিমাণ তিন হাজারের কাছাকাছি থাকলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে হাজারের মত।
চলতি সপ্তাহের প্রথম পাঁচদিনে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত করেছেন পাঁচ হাজার ৬৮৭ জন। এর মধ্যে ভারতে গেছে দুই হাজার ২৬৭ জন ও ভারত থেকে এসেছে তিন হাজার ৪২০ জন।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। ভারত ফেরত ১২ বছরের বেশি বয়সী যাত্রীদের র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। মেডিকেল ও বিজনেস ভিসা (আমদানি রপ্তানি ডকুমেন্ট) ছাড়া কাউকে ভারতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না দেশটির ইমিগ্রেশন। বেশ কয়েকদিন থেকে ভারত থেকে আসা সকল যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ মহলের প্রতিনিধিরাও বেনাপোল চেকপোস্ট পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য কর্মীদের ভারত ফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন।
ব্যবসায়ী শামিম বলেন, ব্যবসায়ীক কাজে মাঝে মধ্যে ভারত যেতে হয়। এখন ভারতীয় ইমিগ্রেশনের কড়াকড়িতে ইচ্ছে মত যাওয়া যাচ্ছে না। এতে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার শুভঙ্কর কুমার মন্ডল বলেন, ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে ভারত ফেরত সন্দেহভাজন যাত্রীদের করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ১৫ দিনে ভারত ফেরত সন্দেহভাজন ৬৪ জন বাংলাদেশিকে পরীক্ষা করে চার জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের রাখা হয়েছে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা রেড জোনে।
বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থলপথে যাত্রী সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। গত পাঁচ দিনে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত করেছেন পাঁচ হাজার ৬৮৭ জন। এর মধ্যে ভারতে গেছে দুই হাজার ২৬৭ জন ও ভারত থেকে এসেছে তিন হাজার ৪২০ জন। ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করেছে বেনাপোল চেকপোস্টসহ বন্দরেও।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি