অনলাইন ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের অধিক সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই সুখবর দিলো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মডার্না। ২০২২ সালের শুরুতেই কোভিডের নতুন এই স্ট্রেইনের টিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মডার্নার চিফ মেডিক্যাল অফিসার পল বার্টন বলেছেন, ‘বিদ্যমান ভ্যাকসিনগুলো কোভিডের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলা করতে না পারলে তার উপায় বের করবে মডার্না। যদি পরিস্থিতি জটিল রূপ ধারণ করে তাহলে আগামী বছরের শুরুতেই নতুন ধরনের ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হবে।’ নতুন ভ্যাকসিন নিয়ে আসার আগে বর্তমান টিকাগুলো ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর সেটিও জানা প্রয়োজন বলে জানান পল বার্টন। মডার্নার চিফ মেডিক্যাল অফিসার বলেন, কোভিড মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান। ফলে নতুন স্ট্রেইনের মোকাবিলায় নতুন টিকা প্রয়োজন হলে ২০২২ সালের মধ্যেই সেটি তৈরিতে সক্ষম মডার্না। তিনি বলেন, ‘নতুন ভাইরাসটি ভয়ানক। তবে আমাদের কাছেও অনেক অস্ত্র রয়েছে।’ এরইমধ্যে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ইসরায়েল, চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এই স্ট্রেইনটি প্রথম শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। যদিও এটি অস্পষ্ট যে, এটির উদ্ভব সেখানেই হয়েছে নাকি অন্য কোনও দেশ থেকে ছড়িয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, ওমিক্রন দ্রুত মিউটেট করতে পারে। বিশেষ করে যেখানে টিকাদানের হার কম এবং সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের গ্লোবাল হেলথের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মাইকেল হেড বলেন, হয়তো এই ভ্যারিয়েন্ট অন্য কোনও দেশে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে। দেশটির খুব ভালো জিনোমিক সিকোয়েন্সিং সক্ষমতা রয়েছে। এটি মহামারির একটি পরিণতি হতে পারে। সম্ভব সাব-সাহারা আফ্রিকার কোনও দেশে প্রথম উদ্ভব হয়েছে ভ্যারিয়েন্টটি। অঞ্চলটিতে জিনোমিক সার্ভেইল্যান্স খুব বেশি নেই ও টিকাদানের হার একেবারেই কম। তার মতে, নতুন ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব বিশ্বে টিকাদানের গতিতে মন্থর গতির কারণে একটি স্বাভাবিক পরিণতি। টিকা না নেওয়া মানুষের সংখ্যা এখনও বিশাল। যেমনটি সাব-সাহারা অঞ্চলে রয়েছে এবং যা বড় প্রাদুর্ভাবের জন্য সহায়ক। সূত্র: টাইম, সিএনবিসি।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু