নিজস্ব প্রতিবেদক:
ওমিক্রনের বিস্তার রোধে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনেও নেওয়া হয়েছে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। দেশে করোনা সংক্রমণের প্রথমদিক থেকেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বেশ তৎপর ছিল। বিশেষ করে কমলাপুর ও এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন ছিল চোখে পড়ার মতো। সরকারি নির্দেশনা মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়েও ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক হতে থাকলে ট্রেনে যাত্রী ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়। এর মধ্যে দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ায় আবারও অর্ধেক যাত্রী পরিবহন শুরু হয় ট্রেনে। স্বাস্থ্যবধি নিয়ে ফের নড়েচড়ে বসে কমলাপুর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এখন স্টেশন এলাকায় ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ পরিপালন করা হচ্ছে। মাস্কবিহীন কেউ স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। আবার যাত্রা শেষে স্টেশন থেকে মাস্ক ছাড়া কাউকে বের হতেও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। সোমবার (২৪ জানুয়ারী) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, মাস্ক ছাড়া কাউকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঢুকতে দিচ্ছেন না রেলওয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা। আবার স্টেশনের ভেতরে কেউ মাস্ক ছাড়া আছে কি না সেটিও দেখছেন তারা। যদিও স্টেশন এলাকায় প্রবেশের সময় মাস্ক পরলেও ভেতরে এসে অনেক যাত্রীকে মাস্ক খুলে রাখতে দেখা গেছে। আবার স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করতে হলে প্রত্যেক যাত্রীকেই টিকিট প্রদর্শন করতে হচ্ছে। টিকিট ছাড়া প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আবার যাত্রা শেষেও টিকিট যাচাই করা হচ্ছে। এই নিয়ম আগেও ছিল। করোনায় সেটি যাচাইয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণ শেষে টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রীকে পেলেই ভাড়াসহ জরিমানা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সাধারণ যাত্রীদের হ্যান্ড মাইকে সচেতন করা হচ্ছে। এর ক্ষতিকর দিক এবং মাস্ক না পরলে কী হতে পারে এসব নিয়ে বলছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের প্রধান ফটকের সামনে রাখা আছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। যাত্রীরা তা ব্যবহার করছেন। তবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে কোনো সাবান দেখা যায়নি। স্টেশনের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জাগো জিউজকে বলেন, স্টেশন এলাকায় গুটিকয়েক লোক মাস্কবিহীন থাকলেও বেশিরভাগই মাস্ক পরেছেন। তবে ভেতরে প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে করতে হবে। প্রবেশের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে আমরা অনুরোধ করছি। হাত ধোয়ার পানি থাকলেও সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ না রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথম থেকেই আমরা চেষ্টা করছি যতটা পারা যায় স্বাস্থ্যবিধি মানাতে। আমরা সচেতন করতে বেশি চেষ্টা করছি। তবে রেলওয়ে থেকে সব সামগ্রী আমরা পাইনি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার রয়েছে, হাত ধোয়ার স্থানে সাবান রাখা হয়েছে, এখন সরবরাহ নেই। এরপরও আমরা স্টেশনের পক্ষ থেকে সবকিছু করছি। ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়েছে। আশা করছি দু/একদিনের মধ্যেই সব চলে আসবে।
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র