অনলাইন ডেস্ক :
ছুটি কাটাতে গিয়ে থাইল্যান্ডে মারা গেলেন শেন ওয়ার্ন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তেও উঠে এসেছে হত্যার কোনো নিশানা পাওয়া যায়নি। তবে তিন দিন পার না হতেই গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, থাইল্যান্ডের তদন্তকারীরা কোহ সামুই দ্বীপের ওই হোটেলে লিজেন্ডারি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের রুমের মেঝে ও গোসলের তোয়ালেতে রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছেন। ৫২ বছর বয়সী ওয়ার্নারকে শুক্রবার রাতে তার রুমে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান তার সঙ্গীরা। অ্যাম্বুলেন্স আসা পর্যন্ত ২০ মিনিট ধরে সিপিআর দেওয়া হয়েছিল তাকে।
কিন্তু স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে। রোববার (৬ মার্চ) অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তদন্তকারীরা ওয়ার্নের রুমের মেঝে ও তোয়ালেতে রক্তের দাগ পেয়েছেন। তারা আরো বলেছে, থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ এবং তার মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে নিতে কাজ করছেন। ওই রিপোর্ট বলছে, ‘অস্ট্রেলিয়া ছাড়ার আগেই ওয়াার্ন বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন এবং হৃদরোগ ও অ্যাজমার সমস্যা ছিল আগে থেকে। স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্ট ভিলাতে তদন্ত করার সময় তদন্তকারীরা ওয়ার্নের রুম ও গোসলের তোয়ালেতে রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছেন।’ বো ফুট পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা ইয়ুত্তানা সিরিসোমবাত বলেছেন, অটোপসি করার জন্য ওয়ার্নের মরদেহ নেওয়া হয়েছিল থাই মেইনল্যান্ডে। যদিও তার পরিবার চেয়েছিলেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দেশে ফেরত পাঠানো হোক। উইকেন্ড টুডের উদ্ধৃতি দিয়ে ফক্স লিখেছে, স্পিন জাদুকর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে কঠিন ডায়েট শুরু করেন। মৃত্যুর কদিন আগেও ওয়ার্নের ইনস্টাগ্রামে এমন আভাস পাওয়া যায়, জুলাইয়ের মধ্যে ওজন কমিয়ে আগের অবস্থায় ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা