November 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, August 25th, 2021, 8:43 pm

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সমতায় সিরিজ শেষ করলো পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক :

বোলারদের নৈপুণ্যে কিংস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। যার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়েও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করলো পাকিস্তান। এতে ২১ বছর যাবত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজ না হারার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখলো বাবর আজমের দল। এই জয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে প্রথম পয়েন্টের দেখা পেল পাকিস্তান। ২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট তাদের। একই অবস্থা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ভারত। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২ পয়েন্ট ইংল্যান্ডের। এই চার দলই এখন পর্যন্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ খেলেছে। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ জিততে পঞ্চম ও শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিলো ২৮০ রান। আর পাকিস্তানের দরকার ছিলো ৯ উইকেট। পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেয়া ৩২৯ রানের টার্গেটে চতুর্থ দিন শেষে ১ উইকেটে ৪৯ রান করেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের পঞ্চম ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে আঘাত হানেন পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৭ রান করা আলজারি জোসেফকে শিকার করেন তিনি। এরপর দ্রুত ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তানের দুই বোলার হাসান আলি ও নুমান আলি। এতে ১১৩ রানে ৬ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে কাইল মায়ার্সে আউট হলে পাকিস্তানের জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাত্র। কিন্তু চা-বিরতির আগে হঠাৎ বৃষ্টিতে চিন্তায় পড়ে পাকিস্তান। কারণ বৃষ্টির কারণে প্রায় এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ ছিলো। খেলা শুরুর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাকী ৩ উইকেটের পতন ঘটাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে পাকিস্তানের। কারণ এক প্রান্ত আগলে লড়াই করছিলেন জেসন হোল্ডার ও উইকেটরক্ষক জসুয়া ডা সিলভা। তাদের লড়াইয়েও শেষ রক্ষা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৮৩ বল খেলে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন হোল্ডার। আর ৫২ বল খেলে ১৫ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে থামেন সিলভা। ২১৯ রানে শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ইনিংসে আফ্রিদি ৪টি, নুমান ৩টি ও হাসান ২টি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়ায় ম্যাচ সেরা হন আফ্রিদি। ম্যাচে ৯৪ রানে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২০০৬ সালের পর পাকিস্তানের কোন পেসারের সেরা বোলিং ফিগার এটি। সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরাও হয়েছেন আফ্রিদি। টেস্ট সিরিজের আগে চার ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতেছিলো পাকিস্তান।