অনলাইন ডেস্ক :
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের হিমছড়িতে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ফের ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। দুটি গাড়ি ব্যারিকেড পেরিয়ে পালিয়ে এলেও আরও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ডাকাতির কবলে পড়ে। সে গাড়ির যাত্রীদের মোবাইল, নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করে ডাকাতদল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কটি বান্দরবানের নাইক্যংছড়ির বাইশারী, রামুর ঈদগড় ও কক্সবাজার সদর উপজেলার গজালিয়াসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষের একমাত্র যাতায়াত পথ। সড়কের হিমছড়ি ঢালা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি হয়ে আসছে। রামু ও কক্সবাজার সদরের সীমানায় পড়া এ স্থানটি পাহাড়ের মাঝখানে হওয়ায় মালামাল লুটের পর ডাকাতরা গহীন বনে ঢুকে যায়। ডাকাতি বন্ধে দুই থানার দুটি টহলদল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতো। এতে ওই জায়গায় ডাকাতি বন্ধ হয়। কিন্তু করোনাকাল থেকে সড়কে পুলিশি টহল বন্ধ। এরপরও দীর্ঘদিন সড়কে ডাকাতের হানা বন্ধ ছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে সশস্ত্র ডাকাতদল একটি টাটা পরিবহন ও দুটি অটোরিকশাকে গতিরোধ করে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। প্রথম গাড়ি দুটি ব্যারিকেড ভেঙে পালানোর সময় ডাকাত দলের হামলায় সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। জীবন ঝুঁকি জেনেও ট্রাক ও অটোরিকশা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে ডাকাতের কবলে পড়ে অপর অটোরিকশায় থাকা যাত্রীরা। তাদের মোবাইল, নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে ডাকাতরা। ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়লে ঈদগাঁও থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ডাকাত কবলিত অটোরিকশাটি তথ্য সংগ্রহের জন্য ঈদগাঁও থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। পালিয়ে আসা পিকআপচালক মানিক জানান, গাড়ি নিয়ে হিমছড়ি ঢালায় পৌঁছালে ১০-১২ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে। তাদের হাতে দেখা যায় দেশীয় তৈরি বন্দুক, লাঠি, ধারালো কিরিচ। ডাকাত দল গাড়ির দিকে অস্ত্র তাক করলে ব্যারিকেড ভেঙে দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তারা হাতে থাকা লম্বা কিরিচ দিয়ে আঘাত করে গাড়ির গ্লাসে। জীবন বাজি রেখে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও গ্লাস ভেঙে গেছে। ঈদগাঁও থানার ওসি গোলাম কবির বলেন, কয়েকটি অটোরিকশায় ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে শুনে তড়িৎ অভিযান চালানো হয়। ঘটনাস্থলে ডাকাত কবলিত একটি অটোরিকশা পাওয়া যায়। ডাকাতরা পাহাড়ে ঢুকে যাওয়ায় কাউকে ধরা যায়নি। তাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। বন্ধ থাকা পুলিশ চেকপোস্ট ও টহল শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকে আবারো সচল করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, স্থানীয় ও পথচারীরা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে ডাকাত ও ডাকাতি প্রতিরোধ সম্ভব।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি