November 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, June 22nd, 2021, 8:27 pm

কক্সবাজারে শর্তসাপেক্ষে খুলছে হোটেল-মোটেল, বন্ধ থাকবে পর্যটন স্পট

ফাইল ছবি

জেলা প্রতিনিধি:

শর্তসাপেক্ষে আগামী ২৪ জুন থেকে খুলছে কক্সবাজার পর্যটন জোনের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস। পর্যটন সেবায় যুক্ত অর্ধলক্ষাধিক মানুষের পরিবারের দুর্বিষহ জীবন স্বাভাবিক করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রুম বুকিং না দেয়া যাবে না। রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না। এ ছাড়া বন্ধ থাকবে সব পর্যটন কেন্দ্র। গত সোমবার জেলা প্রশাসনের এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় পর্যটন সংশ্লিষ্টদের জন্য নেয়া এই সিদ্ধান্তের কথা জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, পর্যটন সংশ্লিষ্ট মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস খুলে দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে গঠন করা হয়েছে একটি মনিটরিং কমিটি। এই কমিটি হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা বেঁধে দিয়েছে। দিক নির্দেশনা সমূহ বাস্তবায়নে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে মনিটরিং কমিটি আবারও বন্ধ করে দেবে হোটেল-মোটেল। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টর বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু সব বিচার বিশ্লেষণ করে সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হচ্ছে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে পুলিশ-প্রশাসনের চেয়ে হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষের চ্যালেঞ্জ বেশি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। রক্ষা করতে হবে প্রতিশ্রুতি। ব্যবসা করতে হবে নিজের ও অন্যের জীবনকে ঝুঁকিতে না ফেলে। সবাই মিলে নিরাপদে বেঁচে থাকাই কাম্য। জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে গৃহীত শর্তগুলো হলো- বেড়ানোর উদ্দেশ্যে কোনো পর্যটক রুম বুকিং নিতে পারবে না। মাত্র ৫০ শতাংশ কক্ষ বুকিং দেয়া যাবে। রুম সার্ভিস ব্যতীত বন্ধ থাকবে রেস্টুরেন্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। বন্ধ থাকবে সুইমিংপুল। রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না। হোটেলের প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক স্প্রে ও তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে। লবিসহ সব কক্ষে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া পুরো হোটেলে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। শর্ত ভাঙলে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সভায় বক্তব্য দেন- ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) পঙ্কজ বড়ুয়া, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম, কলাতলী মেরিনড্রাইভ হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান, হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহসহ আরও অনেকে। কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, যেভাবেই হোক কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক ক্ষতির তালিকা দীর্ঘ না করতে সরকার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।