কক্সবাজারের ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নদী নামে এক সিংহী আড়াই মাস ধরে ঘাড়ে গুরুতর আঘাতে ভুগছে।
ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ইনচার্জ মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, ১১ বছর বয়সী সিংহীটির শারীরিক অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। যদিও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, ‘আড়াই মাস ধরে চিকিৎসার পরও নদীর কোনো উন্নতি হয়নি। এখন সিংহী খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।’
পার্ক ইনচার্জ জানান, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি নদী তার সঙ্গী সম্রাটের (সিংহ) সঙ্গে মারামারিতে আহত হন। এই সময় সম্রাটও আহত হয়। আহত দম্পতিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দী চিকিৎসা দেন।
পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি সিংহ দম্পতি শারীরিক মিলনের সময় আবারও মারামারি করে আহত হয়। এ সময় নদী ঘাড়ে গুরুতর আঘাত পায়। পরে সাফারি পার্কের ভেটেরেনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের চিকিৎসায় সম্রাট সুস্থ হয়। অন্যদিকে, নদীর ক্ষতবিক্ষত ঘাড় থেকে পানি ঝরতে থাকায় তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি নদীর চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডে ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ভেটেরিনারি সার্জন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দী ও পার্ক সার্জন ডা. হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাইন।
চকরিয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দীর জানান, সিংহ সাধারণত ১২ থেকে ১৮ বছর বেঁচে থাকে। নদী এখন বার্ধক্য পৌঁছে গেছে। খাবারে তার কোনো রুচি নেই। প্রতিদিনই তার অ্যান্টিবডি কমছে। সে কারণেই সিংহীর অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক।
মাজহারুল ইসলাম জানান, নদীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর হীরার গর্ভে সিংহী নদীর জন্মগ্রহণ করে। তার ও সম্রাটের ঘরে একটি বাচ্চা আছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি