অনলাইন ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে করে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। গত ৩০ জুন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের সে ইঙ্গিতেই দিয়েছিলেন।
লকডাউনের চতুর্থ দিনে রোববার (৪ জুলাই) ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৩ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। এখন পর্যন্ত এটিই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ হাজার ৬৫ জন। এছাড়া নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৬৬১ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জন।
এদিকে, বিধিনিষেধ অমান্য এবং সড়কে বের হওয়ায় ৬১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে ১৬১ জনকে ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ৪৯৬টি গাড়িকে ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া, পুলিশ সদর দফতর জানায়, গত বছর থেকে শুরু হওয়ায় করোনায় এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৩০৮ জন পুলিশ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার ১৯০ জন। এছাড়া বর্তমানে এক হাজার ২০ জন পুলিশ করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্র গণমাধ্যমকে জানাগেছে, চলমান লকডাউন আরও সাত দিন বাড়তে পারে। কারণ করোনা পরিস্থিতির এখনও কোনো উন্নতি হয়নি। মৃত্যুরও সংখ্যা একশোর বেশি হচ্ছে। তাই বিধিনিষিধের মেয়াদ বাড়ানোর দিকে যেতে পারে সরকার। এছাড়া সরকারের কাছে অন্য কোনো পথ খোলা নেই। শিগগিরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
লকডাউন আরও সাতদিন বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, করোনার যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট তা অত্যন্ত ভয়ানক। এই ভ্যারিয়েন্ট শহর-গ্রাম সবখানে ছড়ায়। এই ভয়াবহতা থেকে মানুষকে বাঁচাতে লকডাউন আরও সাতদিন বাড়াতে হবে।
এর আগে গত ২৪ জুন জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’র সুপারিশ করা হয়।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম