নিজস্ব প্রতিবেদক:
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের আশায় সোমবার (২৫ এপ্রিল) কমলাপুর স্টেশনে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। একটি টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন তারা। এরপরও অনেকের মিলছে না কাক্সিক্ষত সেই ‘অমূল্য’ সম্পদ একটি টিকিট। অগ্রিম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এমন চিত্র দেখা যায়। টিকিটের জন্য অনেক আগে থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। লাইনে দাঁড়িয়েই সারছেন ইফতার-সেহেরি। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে জানান কমলাপুরে আগত মানুষেরা। রাজধানীর মহাখালী থেকে আসা আবদুল মান্নান বলেন, ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ৪ ঘণ্টায় মনে হয় ১৫ থেকে ২০ কদম আগাইছি।
টিকিট পাবো কি না বুঝতে পারছি না। রাত ১০টায় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থেকে কমলাপুর এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন মো. সুহেল রানা। তিনি বলেন, দিনাজপুর যাওয়ার টিকিট কাটতে আসলাম। রাতে এসে দাঁড়িয়েছি। সেহেরিও স্টেশনেই করতে হয়েছে। প্রতিবার ঈদ আসলেই এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রংপুরে যাওয়ার জন্য গত রোববার (২৪ এপ্রিল) টিকিট কাটতে আসেন সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, গতকালও (গত রোববার) এসেছিলাম, টিকিট পাইনি। আজ (সোমবার) রাত ৩টার পর এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখনো অনেকেই টিকিট পাননি। কাউন্টার থেকে দেরি করে টিকিট দিচ্ছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। গত রোববার দেওয়া হয় ২৮ এপ্রিলের টিকিট। সোমবার (২৫ এপ্রিল) ২৯ এপ্রিলের টিকিট। মঙ্গলবার দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট। আর ২৭ এপ্রিল দেওয়া হবে ১ মে’র টিকিট। এছাড়া ৩ মে ঈদ হলে ২৮ এপ্রিল বিক্রি হবে ২ মে’র ট্রেনের টিকিট। ঈদ যাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে থেকে। এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৫ এপ্রিল) থেকে বিশেষ ট্রেনের টিকিট বিক্রিও শুরু হয়।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি