নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন অস্থায়ী কর্মচারীরা। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে রোববার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিক্ষোভ এখনো চলছে। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছি। অপরদিকে নাটোর স্টেশনেও একই দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন রেলওয়েতে মাস্টাররোলে কর্মরতরা। এ কারণে সিগন্যাল না পেয়ে নাটোর স্টেশনের আউটারে আটকা পড়ে আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন। নাটোরে ট্রেন আটকে থাকায় যাতায়াতকারী ও চাকরিজীবীরা পড়েন বেকায়দায়। নাটোর স্টেশনের পয়েন্টসম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, রেলওয়েতে মাস্টাররোলে কর্মরত প্রায় পাঁচ শ’ পয়েন্টসম্যান ও প্রায় তিন শ’ পোটার তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ কারণে সিগন্যাল সমস্যায় আটকা পড়ে ট্রেন। জানা গেছে, বেতন-ভাতা ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে নাটোরে রেলের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ধর্মঘটে উত্তরবঙ্গের সাথে সারা দেশের প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকালে দুই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৯টা ৩৫ মিনিটে নাটোর রেলস্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে চিলাহাটির উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোছা. কামরুন্নাহার সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আব্দুলপুর স্টেশন থেকে ৭টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে আসে। কিন্তু রেলওয়ের কর্মচারীরা বেতন-ভাতা ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ভোর ৬টা থেকে ধর্মঘট ডাকেন। এ কারণে ডাউন না দেয়ায় আমরা ট্রেন রিসিভ করতে পারিনি। ৭টা ৪৫ মিনিটের তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে নাটোর রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। তবে বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি আরো জানান, যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাগজে লিখিত অনুমতি দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এভাবে প্রতিটি ট্রেনই লিখিত অনুমতি নিয়ে চলাচল করছে। তিনি জানান, নাটোর স্টেশনে তিনটি লাইন থাকলেও এখন একটি লাইন স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি