নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাদান কেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকাদান কর্মসূচি সফলতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের প্রতি ছয় হাজার জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য গ্রাম পর্যায়ে পরিচালিত কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ জনকে চীনের সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা ২ কোটি ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৪৩ জন। তাদের মধ্যে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৯৩ হাজার ২১৩ জনকে প্রথম ডোজ ও ৫৯ লাখ ৮৯ হাজার ৬৩০ জনকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে সর্বমোট ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৯৬ জন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৫৭ হাজার ২৫৩ জন ও নারী ৭৬ হাজার ২৪৩ জন। এ ছাড়া দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫ লাখ ৪৬ হাজার ২৮১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩২ হাজার ৪৪ জন ও নারী ৩ লাখ ১৪ হাজার ২৩৭ জন। দেশে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুর দিকে করোনার টিকাদান কর্মসূচি সীমিত পর্যায়ে শুধুমাত্র রাজধানীতে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে তা বিভাগ, জেলা ও উপজেলা এবং বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিকেও দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়াও ফাইজার, সিনোফার্ম ও মর্ডানার টিকা দেওয়া হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে ১১ কোটি ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ২২৬ জন টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৬ কোটি ৯৪ লাখ ২৯ হাজার ১০১ জন। এ ছাড়া দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৪২৫ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে টিকা নিয়েছেন ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩৫ জন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭১৫ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ১১ হাজার ২০ জন।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম