March 28, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, July 2nd, 2022, 1:51 pm

কমেছে পেঁয়াজের দাম, স্থিতিশীল মাছ-মাংস-সবজি

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে গাজর ও পেঁপের দাম। তবে আলুসহ বেশিরভাগ সবজি আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মুরগি ও গরুর মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে মাছেরও। শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। অবশ্য দুই সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম পাঁচ টাকা কমলেও দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের এমন দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী গৌতম বলেন, হুট করে পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে এখন আবার দাম কমতির দিকে। ঈদের আগে না কমলেও ঈদের পর পেঁয়াজের দাম আরও একটু কমতে পারে বলে আমাদের ধারণা। মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা বিক্রি করেছি, আজ তা ৪৫ টাকা বিক্রি করছি। দুদিন ধরে আড়তে পেঁয়াজের দাম একটু কমেছে। কম দামে কিনতে পারায় আমরাও কম দামে বিক্রি করছি। তবে ঈদের আগে হুট করে আবার পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে কি না বলতে পারছি না। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও আগের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। গত সপ্তাহে হুট করে দাম বেড়ে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয় ৩০ টাকা, এখনো ওই দামেই বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগে আলুর কেজি ছিল ২০ টাকা। আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মিলন বলেন, আলুর দাম সহসা কমার সম্ভাবনা কম। নতুন আলু বাজারে আসলে তখন দাম কমতে পারে। তার আগে দাম কমার বদলে বাড়ার সম্ভাবনা বেশি। এদিকে মুরগির বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর। এক কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে গাজরের দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে পাকা টমেটোর কেজি আগের মত ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর মতো অপরিবর্তিত রয়েছে বরবটি ও বেগুনের দাম। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলাও গত সপ্তাহের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আসা কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা পেঁপের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। এ ছাড়া পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সবজির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, দুই একটা বাদে বেশিরভাগ সবজি আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে গাজর ও পেঁপের দাম কমেছে। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁপে এখন ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন প্রচুর পেঁপে আসছে। তাই আমাদের ধারণা সামনে পেঁপের দাম আরও কমবে। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।