September 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, November 24th, 2023, 9:24 pm

কমেছে সবজি-ব্রয়লার মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

হরতাল-অবরোধের প্রভাব নেই রাজধানীর সবজির বাজারে। সপ্তাহ ব্যবধানে শীতকালীনসহ অন্যান্য সবজির দাম কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন ও সরবরাহ ভালো থাকায় এসব সবজির দাম কমেছে। আর সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১০ টাকা কমে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজারে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, ধুন্দল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ টাকা, কলার হালি ২০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, নতুন আলু ১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্

রতি কেজি মুলা ৩০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা ও গাজর ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ৮ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। শেওড়াপাড়ার সবজি বিক্রেতা দেলোয়ার বলেন, শীতের সবজি বাজারে প্রচুর পরিমাণে আসছে, যার প্রভাব দামে পড়েছে। গত সপ্তাহে শিম ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি সেটা আজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

ফুলকপি বড় আকারের ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। হরতাল-অবরোধের কারণে সবজির বাজারে প্রভাব পড়েনি। এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বিক্রেতারা বলছেন, ব্রয়লারের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। তালতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা সুমন বলেন, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছিলাম। গত বৃহস্পতিবারও ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি করেছি।

তবে শুক্রবার হওয়ায় পাইকারি বাজারে কেজিতে ৫ টাকা বেশি দিয়ে আনতে হয়েছে। তারপরও গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমেছে। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কমায় আমরাও কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমিয়ে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আমরা সোনালি ২৮০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ৩২০ টাকা টাকা দরে বিক্রি করছি। বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন ১৩৫ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

বাজারে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ৯০০ টাকা, শিং মাছ (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ২০০ টাকা, টেংরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা এবং আইড় মাছ ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে, সেগুলোর মধ্যে চিনির দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি

। এ ছাড়া চড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দা, মসলাসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম। গতকাল শুক্রবার রামপুরা মালিবাগ কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ও মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা বাজারে খোলা সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আর প্যাকেজাত সাদা চিনি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। এসব চিনির দাম কয়েক সপ্তাহ আগে ১৪০ টাকার মধ্যে ছিল। রামপুরা এবি স্টোরের কালাম হোসেন বলেন, কোম্পানি তারপরও চিনি দিচ্ছে না। তারাই সংকট লাগিয়ে রেখে দাম বাড়াচ্ছে।

এদিকে, মুদি দোকানে চলতি মাসের শুরুতে মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছিল। মাঝে কয়েক দিন কমে আবার বেড়েছে এখন। বর্তমানে মোটা দানার ডালের কেজি ১১০ থেকে ১২০ এবং ছোট দানার ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা আটা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা আর খোলা ময়দা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা বেশি।

চালের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বুলু রাইস স্টোরের স্বত্তাধিকারী বুলু মিয়া বলেন, বিআর আটাশ চালের দাম কেজিতে চার টাকা বাড়ছে। নাজিরেও বাড়ছে চার টাকা আর মিনিকেটে বাড়ছে দুই টাকা। কয়েক বছর থেকে ধান কাটা-মারির মৌসুমে আর চালের দাম কমে না। এখন অব সিজনে দাম কমে। সিজন সময়ে আগে কমতো। তবে বাজারের সবজির দাম কমে প্রায় অধিকাংশ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে।