নিউজ ডেক্স :
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো দেশে দুই ডোজ টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে আবার কোথাও এক ডোজ। তবে দুই ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে দুই ধরনের টিকা দিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের অধ্যাপক ম্যাথিউ স্ন্যাপ। বুধবার (১২ মে) বিবিসির একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক ম্যাথিউ স্ন্যাপ বলেন, এক ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও আরেক ডোজ ফাইজারের টিকা নিলে প্রাপ্তবয়স্কদের শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা ও মাংসপেশিতে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এগুলো খুব গুরুতর নয়।
করোনাভাইরাসের দুই ধরনের টিকার দুই ডোজের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া যাবে তা তারা আশা করেননি।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ টিকা চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়েছেন, তাদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের জ্বর জ্বর ভাব দেখা গেছে। অন্যদিকে যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক ডোজ ও ফাইজারের আরেক ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের ৩৪ শতাংশের মধ্যে জ্বর জ্বর ভাব দেখা দিয়েছে।
স্ন্যাপ বলেন, যারা দুই ধরনের দুই টিকার ডোজ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, অস্থিরতা ও মাংসপেশির ব্যথার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
চলতি বছরেরে ফেব্রুয়ারিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দ্য কম-কভ’ নামে ৫০ ঊর্ধ্ব ৮৩০ জন স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে একটি গবেষণা চালনো হয়। তাতে দেখা যায়, প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিলে দীর্ঘ মেয়াদে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
করোনার নতুন ধরন থেকে সুরক্ষা পেতে ও সরবরাহ বিঘ্নিত হলে হাসপাতাল থেকে দুই ধরনের দুই ডোজ টিকা দিতে বলা হয়েছে। আগামী জুন মাসে এই গবেষণার পূর্ণ ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গবেষণার প্রাথমিক তথ্য ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে একটি গবেষণা বিবরণীতে প্রকাশিত হয়েছে।
গত এপ্রিল মাসে ১ হাজার ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর মডার্না ও নোভাভ্যাক্সের মিশ্র টিকার গবেষণা চালানো হয়। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার পরেও অনেকের মধ্যে দুর্বলতার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন
বিশ্ব কোভিড অবস্থার ইতি টানবে কিনা, বিবেচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ভারতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ
কভিড জরুরি অবস্থার অবসান হলো যুক্তরাষ্ট্রে