জেলা প্রতিনিধি:
হিলি স্থলবন্দরে করোনা টেস্ট ছাড়াই প্রতিদিন প্রবেশ করছেন ভারতীয় ট্রাক চালকরা। ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীদের নেগেটিভ সনদ আনার পরেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে করোনা পজিটিভ হওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। তবে সরকারি নির্দেশনা না থাকায় ভারতীয় ট্রাক চালকদের করোনা পরীক্ষার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা। রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে পণ্য বোঝাই ট্রাক প্রবেশ করছে হিলি স্থলবন্দরে। প্রবেশমুখে এসব ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। তবে এসব ট্রাক চালক ভারতে করোনা টিকা গ্রহণ করলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কিংবা ভারত অভ্যন্তরে করানো হচ্ছে না করোনা পরীক্ষা। এতে ওমিক্রনের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে স্থলবন্দর এলাকা। হিলি স্থলবন্দরে পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক চালক রঞ্জু বলেন, করোনার টিকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। তবে ভারতে কিংবা বাংলাদেশে কোথাও আমাদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না। বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ভারতীয় ট্রাক চালকদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে না। এতে আমরা ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে আছি। হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস বলেন, হিলি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে আমরা করোনা মোকাবিলায় নানা নির্দেশনা দিয়েছি। এরমধ্যে হলো স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আমদানি-রফতানি সচল রাখা। একটা মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে কাজ করছেন। তারা ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করছেন। তবে সরকারি নির্দেশনা না থাকায় ও পর্যাপ্ত কিট না থাকায় ভারতীয় ট্রাক চালকদের করোনা পরীক্ষার আওতায় আনতে পারছি না। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নুর এ আলম বলেন, ভারতীয় ট্রাক চালকদের করোনা পরীক্ষার বিষয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা না থাকায় তাদেরকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনা হয়নি। তবে সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রফতানি করতে পানামা পোর্ট কতৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম
সম্পদের অপচয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অটোমেটেড সরকারি আর্থিক সেবা