অনলাইন ডেস্ক :
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাজ্যে চলমান করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। এ ছাড়া থাকছে না বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুযোগ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের বছর যেতে না যেতেই করোনা মহামারির মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অনেকটাই ক্লান্ত বরিস জনসন। আর তাই ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশ এখনো করোনার বিধিনিষেধ বহাল রাখলেও তুলে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাজ্য ভ্রমণে এখন আর আগের মতো কোভিড পরীক্ষা, আইসোলেশন কিংবা ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদপত্রের প্রয়োজন থাকছে না। তবে, এখনো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়েও শংকায় দেশটি। আর তাই চতুর্থ বুষ্টার ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হচ্ছে মার্চ মাস থেকে। গেল দুই বছরে তিন বার জাতীয় লকডাউনের মুখে পড়ে ব্রিটেন। করোনায় মারা যান এক লাখ ৬০ হাজার জন। তবে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়াকে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন বরিস। এদিকে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর প্রায় দুই বছর পর বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। করোনা টিকা নেওয়া বিদেশি পর্যটকরা শুধু সে দেশে যেতে পারছেন। দুটি টিকা নেওয়া পর্যটকদের কোয়ারেন্টিনেও থাকতে হবে না। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, করোনার কারণে ২০২০ সালের মার্চে সীমান্ত বন্ধ করার পর দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পারিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দঘন পুনর্মিলন এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করতেই সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, আজ খুবই উত্তেজনাপূর্ণ একটি দিন। মহামারির শুরুতে যখন আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিলাম, সেদিন থেকেই এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু