November 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, January 4th, 2022, 8:07 pm

কলম্বিয়ায় বিদ্রোহী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ২৩

অনলাইন ডেস্ক :

লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় বিদ্রোহীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেশি দেশ ভেনেজুয়েলার লাগোয়া সীমান্ত অঞ্চলে দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইভান দুকু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কলম্বিয়ার গেরিলা গোষ্ঠী ইএলএন এবং ফার্ক বিদ্রোহীর সদস্যদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকও থাকতে পারেন। কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী দিয়েগো মোলানো বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আরাউকা অঞ্চলের গ্রাম এলাকা থেকে আমরা ২৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি।’ তবে এর মধ্যে কোনো বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন কি না, তা উল্লেখ করেননি তিনি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্রোহী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির সময় কিছুসংখ্যক সাধারণ মানুষ সেখানে আটকা পড়েছিলেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের লাতিন আমেরিকাবিষয়ক পরিচালক হোসে মিগুয়েল ভিভানকো গতকাল এক টুইটার পোস্টে বলেন, সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি ‘খুব গুরুতর’। কলম্বিয়া ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে কলম্বিয়ার বিদ্রোহীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দায়ী করেছেন কলম্বিয়ান প্রেসিডেন্ট ইভান দুকু। তার অভিযোগ, ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (ইএলএন) সদস্য ও রেভল্যুশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) ভিন্নমতাবলম্বীরা ভেনেজুয়েলা সরকারের সম্মতি ও সুরক্ষা নিয়েই দেশটির ভূখ- থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ২০১৮ সালের আগস্টে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুকু দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপরই ভেনেজুয়েলার সঙ্গে কলম্বিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ভেঙে পড়ে। দুকু প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছর আগে ফার্কের সঙ্গে কলম্বিয়া সরকারের একটি শান্তিচুক্তি হয়। প্রায় ছয় দশকের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের অবসানে চুক্তিটি করা হয়। এর আওতায় প্রায় ১৩ হাজার ফার্ক সদস্য তাঁদের অস্ত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে একটি ছোট রাজনৈতিক দলে পরিণত হয় ফার্ক। তবে চুক্তির পরও কলম্বিয়াতে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীরভিন্নমতাবলম্বী সদস্যরা বৃহত্তম কোকেন উৎপাদনকারী দেশটির চোরাচালান ও অবৈধ খনি বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিতে আধা সামরিক গোষ্ঠী, মাদক চক্র ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।