April 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, May 21st, 2023, 3:54 pm

কলাপাড়ায় ব্রিজ নির্মান হলেও সম্পন্ন হয়নি দুই প্রান্তের মাটি ভরাটের কাজ

চলাচলের জন্য দিয়েছেন স্থানীয়রা কাঠের তক্তা

জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী (কলাপাড়া):

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ব্রিজ নির্মান হয়েছে ঠিকই। কিন্তু দুই প্রান্তের মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়নি। লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি বাজার সংলগ্ন ব্রীজটি উভয় পাশে কাঠের তক্তা দিয়ে যোগাযোগ ও চলাচল সচল রাখেছেন স্থানীয়রা। এতেও দূর্ভোগ কমেনি তাদের। বরং সামান্য বৃষ্টি হলেই অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়ে। আর প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট খাট দূর্ঘটনা। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয়রা বিপরীতমূখী অবস্থানে থাকায় ব্রীজের উভয় পাড়ে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, ২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এ ব্রীজটি নির্মান কাজ করে জেবি কন্সট্রাকশন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ২১ সালের মে মাস থেকে ২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এর সময়সীমা নির্ধারন করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারনে এখন পর্যন্ত এর কাজ সম্পন্ন হয়নি। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া, চিঙ্গুড়িয়া, দশকানী, ছোনখলা, চরপাড়া,পশরবুনিয়া ও উত্তর লালুয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয় একাধিক পথচারী বলেন, জমি নিয়ে যে বিরোধ ছিলো শুনেছি তার সমাধান হয়েছে। তাহলে কি কারনে ব্রীজের সংযোগ স্থলে এখনও তারা মাটি দিচ্ছে না সে বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়। অতিদ্রুত ব্রীজের কাজ শেষ করে জনগনের চলাচলের উপযুক্ত করে দিবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন তারা।

এদিকে জমির মালিকরা সংযোগ স্থলের জমি ছাড়তে অনিহা দেখাচ্ছে। তারা জমি ছেড়ে দিলে আমরা কাজ শেষ করতে পারি এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তবে জমির মালিকরা বলছেন ভিন্ন কথা।

বানাতী বাজার ব্যবসায়ী কমিটি’র সভাপতি মো. রুবেল হাওলাদার বলেন, ব্রীজটির সংযোগ কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিনিয়ত এখানে বিভিন্ন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটছে। জরুরী রোগী পারাপারে অনেক বেগ পোহাতে হয়।

লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রীজটি অচল অবস্থায় পরে রয়েছে। সাধারন মানুষের ভোগান্তি ও দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে ব্রীজের দুই প্রান্তে কাঠের সাঁকো সংযুক্ত করে কোন রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তবে জনগনের স্বার্থে ব্রীজটির সংযোগ স্থলের মাটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

উপজেলা প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ণ সাংবাদিকদের জানান, জায়গা নিয়ে জমির মালিকদের সাথে জটিলতা থাকায় ব্রীজের কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে। তারা জমি ছেড়ে দিলে আমরা দ্রুত কাজ শেষ করবো।