আপডেট
জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী (কলাপাড়া) :
উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্নিঝড় সিত্রাং। সোমবার সকাল দশটা থেকে সাত নম্বর বিপদ সঙ্কেতের প্রচার শুরু হওয়ায় সাগরপারের মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আনেকেই বাড়ি ঘর ছেড়ে শেষ সম্বলটুকু নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে গিয়েছেন। ঘূর্নিঝড় সিত্রাং’র প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। ক্রমশই বৃষ্টি এবং বাতাসের মাত্রা বেড়েছে । একই সাথে বাড়ছে জোয়ারে পানির উচ্চতা। সিপিপি সদস্যদরা তাদের প্রচার অব্যাহত রেখেছেন। তবে বেড়িবাঁধের বাইরের অন্তত পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া রাবনাবাদ নদী পাড়ের বাঁধ ভাঙ্গা জনপদ লালুয়া, ধানখালী ও চম্পাপুর ইউনিয়নের দেড় হাজার পরিবার আছে জলোচ্ছ্বাস আতঙ্কে।
এদিকে দূর্যোগ মোকাবেলায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জনপ্রতিনিধি ও সিপিপি সদস্যদের নিয়ে প্রস্তুতি মূলক সভা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শঙ্কর চন্দ্র বৈদ্য এ সভার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান মহিব এমপি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসানসহ আর অনেকেউপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা সিপিপি’র সহকারী পরিচালক আসাদউজ্জামান খান আবহাওয়া অফিসের বরাদ দিয়ে সংবাদিকদের জানান, ঘূর্নিঝড় সিত্রাং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিন-দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার শংকায় পায়রা সহ দেশের সব বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় কলাপাড়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। খাবারসেলাইন, সার্বক্ষনিক এ্যাম্বুলেন্স, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামসহ এসব মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার চিন্ময় হাওলাদার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শঙ্কর চন্দ্র বৈদ্য জানান,দুর্যোগ মোকাবেলায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করা হয়েছে। ১৯টি মুজিব কেল্লা সহ ১৭৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিপিপির ৩১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট ও শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা এবং জনপ্রতিনিধিদের মানুষের পাশে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি