November 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, February 9th, 2023, 9:22 pm

কলাপাড়ায় রাস্তা নির্মান করে দিলো এক কৃষক

জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী (কলাপাড়া):

দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা না থাকায় জোয়ারে তলিয়ে যেতো গ্রাম। যাতায়াতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হতো এলাকার মানুষের। তাই সাধারন মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নিজের ৩০ শতাংশ জমি বিক্রি করে মাটির রাস্তা নির্মান করেছেন মো.কামাল হোসেন নামের এক কৃষক। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামে প্রায় ১৫ দিন ধরে ১৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি রাস্তা নির্মান করা হয়। এ রাস্তাটি নির্মানে ওই কৃষকের ব্যায় হয় ৭ লাখ টাকা। তার এ কাজে স্থানীয়রাও শ্রমিক হিসেবে সহযোগিতা করেছেন। তবে কামাল হোসেনের এই মহতী কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামে সড়ক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হতো কৃষকসহ সাধারণ মানুষদের। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যেতো এলাকাটি। এতে অনাবাদি থাকতো ফসলী জমি। এছাড়া স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ গর্ভবতী মায়েদের যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাতে হতো। এসব মানুষের কথা চিন্তা করে নিজ অর্থায়নে রাস্তাটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন কৃষক কামাল হোসেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা মো.সাইয়েদ মিয়া বলেন, আগে এখানে একটি নাম মাত্র মাটির রাস্তা ছিলো। মানুষ হাটাচলায় খুবই কষ্ট হতো। বর্ষা কিংবা জোয়ারের পানিতে সবই তলিয়ে যেতো। এ বিষয়ে একাধিকবার মেম্বর চেয়ারম্যানের কাছে গেলেও কোনা সুফল পাইনি। পরে কৃষক কামাল হোসেন এই রাস্তাটি নিজ অথায়নে নির্মাণ করে দেয়। একই গ্রামের বাসিন্দা মো.সুলতান মিয়া বলেন,এ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জরিত। তাদের ক্ষেতের সবজি বাজারে পৌঁছাতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হতো। এখন এই সড়কটি নির্মাণের ফলে আর সমস্যা হবে না।
কৃষক কামাল হোসেন বলেন, এ রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। এক গর্ভবতী মাকে ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিল। ভ্যানটি হঠাৎ বিলের মধ্যে পড়ে যায়। এসময় ওখানেই সন্তান প্রসব করেন ওই গর্ভবতী মা। যেটা দেখে আমি মর্মাহত হয়েছি। তখনই সিদ্ধান্ত নেই রাস্তাটি নির্মাণ করে দেব। এর পর ৩০ শতাংশ জমি বিক্রি করে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ করেছি।
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, এটি মহতী কাজ। এজন্য ব্যক্তিগত ভাবে কৃষক কামালকে ধন্যবাদ জানাই।