November 22, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, September 23rd, 2021, 9:17 pm

কাঁচপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ-রাবার বুলেট

নারায়ণগঞ্জের কাচপুরে ওপেক্স সিনহা গ্রুপের পোশাক শ্রমিকরা তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ করাকালে পুলিশ তাদের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাচঁপুরে ওপেক্স ও সিনহা গার্মেন্টেসে তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে অন্তত ১০ জন শ্রমিক আহত হন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এ সময় গাড়ি ভাঙচুর করে এবং সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান। শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিন ধরে বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ তালবাহান করে আসছে।

নারায়ণগঞ্জের কাচপুরে ওপেক্স সিনহা গ্রুপের পোশাক শ্রমিকরা তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে।

এ ছাড়া শ্রমিকদের অবসর সার্ভিসের টাকা, মাতৃত্বকালীন ছুটি, বাৎসরিক ছুটির টাকা, মৃত্যুজনিত এককালীন বীমার টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে না। এ নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হলে তারা ছাঁটাইয়ের ভয়ভীতি দেখায়। গত বুধবার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে কারখানার গেটে নোটিশ টানিয়ে দেয়। পরে বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা বিকালে মহাসড়কে নেমে অবরোধ করে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আন্দোলনের পর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন। পরে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) একই দাবিতে শ্রমিকরা ঢাকা সিলেট ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। রাস্তার দুইপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর সুপার আইনুল হক জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক। শ্রমিকদের দাবি নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।