জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শহীদুল্যাহ রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেলকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে একটি এলজি, একটি পাইপগান ও তিন রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের লোহারপুল এলাকায় ছদ্মবেশে পালানোর সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কেচ্ছা রাসেল বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সফি উল্যাহর ছেলে। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি জানান, শহীদুল্যাহ রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল একজন সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী ক্যাডার। সে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী হয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম, ত্রাস সৃষ্টি, চুরি, ডাকাতি, পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে। রাসেলের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে ১৫টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি, ডাকাতির তিনটি, চুরির একটিসহ মোট ২৩ মামলা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেচ্ছা রাসেল মেয়র কাদের মির্জার সহযোগী হিসেবে তার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়েদুল হক কচি, যুবলীগ নেতা আরমান চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহজাহান সাজু, ছাত্রলীগ নেতা করিম উদ্দিন শাকিল, স্থানীয় সাংবাদিক প্রশান্ত সুভাষ চন্দ্রের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের পঙ্গু করেছে। এদিকে একই রাতে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরীকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে তিনটি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী মুছাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবু নাছের চৌধুরীর ছেলে ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা যায়, সাত মাস ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সহিংসতায় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিন নিহত হন। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। দুই পক্ষের মধ্যে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়র কাদের মির্জা এক পক্ষে এবং তার তিন ভাগনেসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল অপর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি