অনলাইন ডেস্ক :
আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দুই দফা বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সেনা ও আফগান নারী-শিশুসহ অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ১৫ মার্কিন সেনাসহ আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৪০ জন। এদিকে আত্মঘাতী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। এছাড়া, আরও হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আফগানিস্তানে তালেবান নিয়ন্ত্রণ আসার পর থেকেই দেশ ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে মরিয়া আফগানরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় কাটছে তাদের দিনরাত। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও আফগানিস্তান ছাড়ার অপেক্ষায়। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাবি গেটের কাছে প্রথম একটি বিস্ফোরণহয়। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলো মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনারা।
এর কিছুক্ষণ পর বিমানবন্দরের পাশে ব্যারন হোটেলের কাছে আরেকটি বিস্ফোরণ হয়। তালেবানের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে তাদের কয়েকজন সদস্যও রয়েছে।
পরে আমাক নিউজ এজেন্সির টেলিগ্রাম চ্যানেলে দুই হামলারই দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। জঙ্গিদের মুখপাত্র জানিয়েছে, আইএস খোরাসনের সদস্যরা এ আত্মঘাতী হামলা চালায়। এদিকে, কাবুলের হামলাকারীদের খুঁজে বের করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভয়াবহ এই হামলা সত্ত্বেও ওয়াশিংটন কাবুলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাবে বলে জানান বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘যারা এই হামলা চালিয়েছে, সেই সঙ্গে যারা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি চায়, তারা এটা জেনে রাখুন, আমরা ক্ষমা করবো না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করবো এবং তোমাদেরকে এর মূল্য দিতে হবে। সন্ত্রাসীরা আমাদের নিবৃত্ত করতে পারবে না। তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের মিশন বন্ধ করতে দেওয়া হবে না।’
এদিকে আফগানিস্তানে এখনও হাজারখানেক মার্কিন নাগরিক রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২