অনলাইন ডেস্ক :
তালেবানরা কাবুল দখলের পর কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তি অব্যাহত রয়েছে বলে জানা যায়। কাবুল বিমানবন্দরে মার্কিন সেনারা বাতাসে গুলি ছুড়েছে।
এএফপির মতে, আফগানিস্তান থেকে একটি ফ্লাইট ধরার চেষ্টা করার সময় হাজার হাজার আফগানরা টার্মিনালে ভিড় করেছিল।
সোমবার (১৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর নিশ্চিত করেছে যে, আফগান দূতাবাসের সব কর্মীকে কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের একটি ভবনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দফায় দফায় মার্কিন কর্মীদের বিমানে করে সরিয়ে আনা হচ্ছে। কর্মীদের সরিয়ে আনার এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে অতিরিক্ত প্রায় ছয় হাজার সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোববার দিনব্যাপী উত্তেজনার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। এরপর থেকেই ভয় আর আতঙ্কে দেশের মাটি ছাড়ছেন আফগানরা। কাল সকাল থেকে কাবুল বিমানবন্দরে কয়েক লাখ মানুষ ভিড় করছেন। অনেকে বিমানে চড়তে পারলেও এখনও বহু মানুষ অপেক্ষা করছেন সেখানে।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।
অভিযানে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের দমন করা হলেও ‘শান্তিরক্ষার স্বার্থে’ সেখানে ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান করছিল পশ্চিমা সেনারা। কিছু বছর পার হওয়ার পর সেখান থেকে ধাপে ধাপে যুক্তরাষ্ট্র বাদে অন্য দেশের সেনাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করলে প্রত্যন্ত এলাকা দখল করে থাকা তালেবান কাবুলের ক্ষমতার মসনদে উঠতে জোর লড়াইয়ে নামে। যদিও এর মধ্যে তালেবানের সঙ্গে কাবুলের শাসকগোষ্ঠীর সংঘাতের অবসানে কাতারসহ বিভিন্ন পক্ষের মধ্যস্থতায় নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সব আলোচনাই ভেস্তে গেছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক