November 16, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, April 12th, 2022, 5:08 pm

কারাগারেই ভুক্তভোগীকে বিয়ে করলেন ধর্ষণ মামলার আসামি

ধর্ষণ মামলায় খুলনা জেলা কারাগারে থাকা এক আসামির সঙ্গে সেফ হোমে থাকা হাজতির বিয়ে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কারাবন্দি রায়পাড়ার রফিকুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে একই এলাকার সুখমনির বিয়ে হয়।

খুলনা কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ফখরউদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনায় উভয়ের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সময় বর-কনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ, হাইকোর্ট বিভাগের ক্রিমিনাল মিস কেস নং-৬৯৯৯/২০২২-এর নির্দেশনা মোতাবেক ভুক্তভোগী সুখমনি এবং হাজতি বন্দি মো. রফিকুল ইসলাম বাবু কারাগারে থাকা অবস্থায় বিয়ের কাজ সম্পন্নের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে রবিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে কারাগারের অফিস কক্ষে খুলনা জেলা বিবাহ রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন করা হয়।

খুলনা কারাগারের সুপার মো. ওমর ফারুক জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনায় এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। আসামি খুলনার কারাগারেই ছিল। সুখমনিও কারাগারের হাজতি। তবে সে নিরাপত্তা হেফাজতের হওয়ায় তাকে বাগেরহাট সেফ হোমে রাখা হয়েছিল। বিয়ের জন্য দুই দিন আগে সুখমনিকে এখানে আনা হয়।

তিনি জানান, হাইকোর্টের অনুমতি ও দুই পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ওই কিশোরীর বাল্যবিয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল হক বলেন, ‘বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী আদালতের অনুমতি ও উভয়ের অভিভাবকদের সম্মতিতে বিশেষ ব্যবস্থায় এ ধরনের বিয়ে দেয়া যায়।’

তিনি বলেন, ‘ছেলেটি ছিল ওই বাড়ির কেয়ারটেকার। আর মেয়েটিকে ওই বাড়িতে কাজ করতো। ঘটনার সময় মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্তা ছিল। এ কারণে মেয়েটির অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষায় নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার আবেদন জানালে আদালত তা আমলে নেন। এ কারণে মেয়েটি বাগেরহাট সেফ হোমে ছিল।’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর খুলনা থানার মামলায় হাজতি বন্দি মো. রফিকুল ইসলাম বাবু ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে খুলনা জেলা কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন।

—ইউএনবি