April 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, June 14th, 2022, 8:01 pm

কার জন্য রোনালদোর আবেগঘন বার্তা?

অনলাইন ডেস্ক :

রিয়াল মাদ্রিদে দীর্ঘ ৯ বছরের পথচলায় দুজনের মাঝে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। ২০১৮ সালে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো দল ছাড়লেও তাতে ভাঁটা পড়েনি। এবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউকে বিদায় বললেন মার্সেলো। ইউরোপের সফলতম ক্লাবটিতে ব্রাজিলিয়ান তারকার অধ্যায় শেষে রোনালদোর মনে ভীড় করছে সেই সব স্মৃতি। রিয়ালে দীর্ঘ ১৫টি বছর কাটিয়ে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুম দিয়ে এই অধ্যায়ের ইতি টেনেছেন মার্সেলো। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান নিজের ‘দ্বিতীয় ঘর’ রিয়ালকে। তারুণ্যে প্রত্যাশার ডালি সাজিয়ে ২০০৭ সালে রিয়ালে যোগ দিয়ে অল্প সময়েই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন মার্সেলো। দুই বছর পর তারকা বেশে সেখানে পাড়ি জমান রোনালদো। শুরু হয় একসঙ্গে স্বপ্নময় পথচলা। মার্সেলো মূলত লেফট-ব্যাক হলেও আক্রমণ গড়ে দেওয়ায় বরাবরই দারুণ পটু তিনি। তার গড়ে দেওয়া ভিত কাজে লাগিয়ে অসংখ্যবার প্রতিপক্ষের রক্ষণ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন রোনালদো। ২০১৮ সালে রোনালদো ক্লাবটি ছাড়ার আগ পর্যন্ত দলের অনেক সাফল্যে সঙ্গী ছিলেন দুজন। মার্সেলোর বিদায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বার্তায় বন্ধুকে শুভকামনা জানিয়েছেন মাঝে তিন বছর ইউভেন্তুসে কাটিয়ে গত বছর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা রোনালদো। “সতীর্থের চেয়েও বড় কিছু সে, ফুটবলে তার মাঝে আমি একটা ভাই পেয়েছি। মাঠ ও মাঠের বাইরে সেরা তারকাদের মধ্যে সে একজন, যার সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করা উপভোগ করেছি। নতুন রোমাঞ্চকর অভিযানে সবটুকু উপভোগ করো, মার্সেলো।” ১৮ বছর বয়সে রিয়ালে যোগ দেওয়া মার্সেলো ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন মোট ৫৪৬ ম্যাচ। সব মিলিয়ে জিতেছেন ২৫টি শিরোপা। তার মধ্যে লা লিগা ৬টি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ৫টি। রিয়ালে গত কয়েক মৌসুমে মার্সেলোকে বেশ ভুগতে হয়েছে। ফর্ম হারিয়ে দলে ছিলেন না নিয়মিত। আর এই সময়ে প্রথম সারিতে উঠে এসেছেন আরেক ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিউস জুনিয়র। তাই মাঠে একসঙ্গে খেলার সময় কম হলেও ড্রেসিং রুমে ও মাঠের বাইরে মার্সেলোর থেকে অনেক কিছু শিখেছেন ভিনিসিউস। গ্রেটের বিদায় বেলায় তাই তিনি জানালেন কৃতজ্ঞতা। “মার্সেলো! সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ! বিশ্বসেরা ক্লাবের সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ী কিংবদন্তি। আপনার সঙ্গে খেলতে পারা ও আপনার থেকে শিখতে পারা ছিল দারুণ আনন্দের” মার্সেলোকে সবসময়ের সেরা লেফট-ব্যাক মনে করেন রিয়ালে তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী টনি ক্রুস। “আমি বলতে পারি, সব সময়ের সেরা লেফট-ব্যাকের সঙ্গে খেলেছি।”