অনলাইন ডেস্ক :
অবশেষে আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশে আসছেন এই সময়ের বলিউডের নামি তারকা অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। দেশে একদিন অবস্থান করবেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। হিন্দির পাশাপাশি তেলেগু, মালয়ালম ও তামিল ছবিতে তার উপস্থিতি নজর কাড়ছে। তবে কেবল বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দা এবং মিউজিক ভিডিওতেও সমান জনপ্রিয় নোরা। এবং ‘বিগ বস ৯’, ‘ঝলক দিখলা যা’, ‘কমেডি নাইটস’, ‘এমটিভি ট্রল পুলিশ’সহ অনেক রিয়েলিটি শোতেও তার পারফরম্যান্স নজরকাড়া। তাকে বাংলাদেশে আনছে উইমেন লিডারশিপ করপোরেশন। তিনি মূলত ‘উইমেন অ্যামপাওয়ারমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ডকুমেন্টারির শুটিংয়ে অংশ নেবেন। বাংলাদেশে শুটিং ও পুরস্কার বিতরণ মিলিয়ে ৪০ মিনিটের প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকবেন বলিউডের লাস্যময়ী এ তারকা। তাকে একটি প্রামাণ্যচিত্রের শুটিংয়ে অংশগ্রহণের অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশে আসার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এজন্য আইটেম গার্ল খ্যাত এ অভিনেত্রীকে আবেদনপত্র অনুযায়ী, ‘উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ডকুমেন্টারির শুটিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য ১১ লাখ ৮০ হাজার রুপি পারিশ্রমিকে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬০০ টাকা) তবে বাংলাদেশে এসে নোরা ফাতেহি যে পারিশ্রমিক পাবেন, তার ওপর ৩০ শতাংশ উৎসে কর দিতে হবে বলে আগেই জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এবার নোরাকে মূল্য সংযোজন করা (মূসক) দিতে হবে বলেও জানিয়েছে এনবিআর। অর্থাৎ নোরাকে পারিশ্রমিকের ৩০ শতাংশ উৎসে কর বা ট্যাক্স এবং ২৫ শতাংশ মূসক বা ভ্যাট দিতে হবে। যদিও আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এনবিআরের প্রাপ্য উৎসে আয়কর পরিশোধ করা হয়েছে। কর দিয়েই নোরা ঢাকায় আসবেন। এরইমধ্যে চুক্তিপত্র অনুযায়ী ৩০ শতাংশ অগ্রিম করও দেওয়া হয়েছে। এবং জানাগেছে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ এর থিম সং ‘লাইট দ্যা স্কাই ‘(Light The Sky) গানে পারফরম্যান্স করবেন বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফতেহি। সদ্য মুক্তি পেয়েছে সেই গান। ডকুমেন্টারির শুটিংয়ে অংশ নিতে নোরাকে পাঁচটি শর্তে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে:- প্রথম শর্ত- শুক্রবার যাতায়াকের সময়টুকু ছাড়া এক দিন বাংলাদেশে আগমন/অবস্থান করে ডকুমেন্টারির শুটিংয়ের কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে তিনি অন্য কোনো কাজে বা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। দ্বিতীয় শর্ত – সংশ্লিষ্ট প্রযোজক অভিনেত্রীর জন্য যথানিয়মে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন/ উপহাইকমিশন থেকে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। তৃতীয় শর্ত – বাংলাদেশ সরকারের প্রাপ্য অগ্রিম করের প্রমাণ ডকুমেন্টারির সেন্সরের সময় চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে দেখাতে হবে। প্রমাণ দেখাতে না পারলে ডকুমেন্টারিটি সেন্সরের জন্য বিবেচনায় আনা হবে না। চতুর্থ শর্ত – এ আয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অর্থ প্রদান করা হবে না। সর্বশেষ শর্তে বলা হয়েছে- উপরের কোনো শর্ত লঙ্ঘন করা হলে সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টারি নির্মাণের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ