অনলাইন ডেস্ক :
বুজোভাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের দিমিত্রিভকা সম্প্রদায়ের প্রধান তারাস ডিডিচ ইউক্রেনীয় একটি টেলিভিশনকে বলেছেন, একটি পেট্রোল স্টেশনের কাছে একটি নালার মতো খাদে মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা কত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ডিডিচ বলেন, এখন আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছি। কিন্তু, (রুশদের) দখলে থাকার সময় আমাদের এখানে ‘হটস্পট’ ছিল। (এখানে) অনেক বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। তবে, রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হতে পারেনি। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম সপ্তাহে কিয়েভে হামলা চালিয়েছিল রুশ বাহিনী। এ সময় মাকারিভ, বুচা, ইরপিন, দিমিত্রিভকাসহ রাজধানীকে ঘিরে থাকা বেশ কয়েকটি এলাকায় লাগাতার হামলা হয়। চলতি এপ্রিলের শুরুতে ইউক্রেনের স্থানীয় গণমাধ্যম বুজোভাসহ কাছাকাছি শহরগুলোর হতাহতের খবর দিয়েছিল। সে সময় স্থানীয় ৩০ ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল ইউক্রেনের গণমাধ্যমগুলো। কিয়েভের আশপাশের বেশির ভাগ শহর ও গ্রাম এখন রুশ দখলমুক্ত হয়েছে। এরপর থেকে কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে বুচা শহরে গণকবর এবং বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের খবরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঢেউ উঠেছে। এদিকে, শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভ রুশ সেনামুক্ত হলেও ইউক্রেন দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠিন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দেশটির পূর্বাঞ্চলের লোকজনকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২