May 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, January 17th, 2024, 8:18 pm

কুড়িগ্রামে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, কমেনি শীতের দাপট

টানা শীত ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। এর প্রভাব পড়েছে জেলার কৃষি ক্ষেত্রেও।

তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও কমেনি শীতের দাপট। কনকনে ঠান্ডায় যবুথবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুর্যের দেখা মিলছে না। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে মেঘাচ্ছন্ন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে শীত কাতর মানুষগুলো। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখিরাও।

শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ।

সরেজমিনে এসব চিত্র দেখতে পান ইউএনবির কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।

গত ১ সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭০ জন।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শর্য্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৫৭ শিশু। দিন ও রাতের তাপমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় দিনভর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

অপরদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় হলুদ ও সাদা বর্ণ ধারণ করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বোরো আবাদের বীজতলা।

কৃষকরা জানান, বোরো মৌসুম শুরু হলেও একদিকে কনকনে ঠান্ডায় জমিতে রোপণ করতে পারছেন না ধানের চারা। অন্যদিকে হিমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বীজতলা। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তাদের।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহাড়া গ্রামের কৃষক আবু মিয়া বলেন, ‘আজ নিয়ে ৭ দিন হইলো সূর্যের কোনো খবর নাই। ঠান্ডা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বোরো ধানের বীজতলা করেছি, এখনো বীজতলার কোনো সমস্যা হয়নি। এমন ঠান্ডা আরও ২-৩ দিন থাকলে মনে হয় বীজতলার ক্ষতি হতে পারে।’

জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বোরো আবাদের জন্য জেলায় এ বছর সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রোপণ করা হয়েছে ১২ হেক্টর জমি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাসজুড়েই তাপমাত্রা এমন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৩-৪ দিন পরে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

—-ইউএনবি