কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমে গেলেও কমেনি ভোগান্তি। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমার, ধরলাসহ সবক’টি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনও নিম্নাঞ্চলে পানি অবস্থান করায় মাঠের ফসল নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত ৬৫০টি পুকুরের ১৩০ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, বন্যার কারণে মাঠে অবস্থিত ফসলের মধ্যে ১ হাজার ৪৮৭ হেক্টর ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- শাক-সবজি ২৬২ হেক্টর, আউশ ধান ২৪৪ হেক্টর, বীজতলা ৩৮০ হেক্টর, কলা ২০ হেক্টর এবং পাট ৫৮১ হেক্টর। এর মধ্যে শাক-সবজি পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। পানি নেমে গেলে বাকি ফসলের ততটা ক্ষতি হবে না।
জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম জানান, বন্যার কারণে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হওয়ায় সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন অফিস তার সরবরাহকৃত তথ্যে জানিয়েছে, চলতি বন্যায় ৪৫টি ইউনিয়নের ১৮৫টি গ্রাম সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বন্যা কবলিত হয়েছে ৬১ হাজার ৪৫ জন মানুষ। জেলার ৩৬১টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৮০টি পরিবারের ৩০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ২২ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, এখন পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য ৩৬৩ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে ৮ লাখ টাকা ও ২২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি