কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার মাত্র ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাড়ছে ধরলার পানি তবে কিছুটা কমেছে তিস্তা নদীর পানি।
পানি বাড়ায় নদী অববাহিকার চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বাড়ির চারপাশে পানি উঠে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, এসব এলাকায় মানুষ পানিতে তলিয়ে গেছে সবজি, আমনের চারাসহ পাট।
এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকে এ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০জুন) সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার উলিপুর ও সদর উপজেলার মুসার চর, পুর্ববালাডোবার চর, ফকিরের চর, পোড়ার চরসহ কয়েকটি চরে ঘর-বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
এছাড়া দুধকুমার নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চল পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার সড়ক ও আবাদি জমি তলিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আগামী ২২ ও ২৩ জুন প্রধান নদ-নদীগুলোর পনি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদী বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা মোকাবিলার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৫৪১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা ও শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। যেখানে প্রয়োজন হবে, তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হবে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক