টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। প্লাবিত হয়েছে চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো। কিছু এলাকায় ধান, বাদাম ও মরিচ খেত তলিয়ে গেছে। এদিকে পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙন ও ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় কুড়িগ্রামবাসী।
ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে। তবে অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, রবিবার থেকে পানি কমতে পারে। তিস্তা বাদে সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক বসতভিটা এবং কাঁচা সড়ক ডুবে গেছে।
রাজারহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম বলেন, তার উপজেলায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি অফিসের তথ্যমতে, তিন শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমি ফসলের খেত পানির নিচে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যায় জেলার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির রোপা আমন খেত তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ২৫০০০ পরিবার
নারায়ণগঞ্জে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা
ইন্টার্নদের আন্দোলনে পদ ছাড়লেন শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক