কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য সংগঠন ‘থিয়েটারের কুবি’র উদ্যোগে ও সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসিসটেন্সের (সিসিডিএ) সহযোগিতায় অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক উৎসব – ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে উৎসবের চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
ইশতিয়াক আহমেদ ও গুলশান পারভীনের যৌথ সঞ্চালনায় চূড়ান্ত পর্বে আধুনিক গান, লোকসংগীত, নৃত্য, মঞ্চ নাটক ও আবৃত্তি – পাঁচটি বিভাগে ৩৬ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। আধুনিক গানে কে এম ইশতিয়াক রহমান, ঐশী ভৌমিক, আসিফুল হাসান ও আল আরাফাত আমিন রাফি ক্রমান্বয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছেন।
লোকগীতিতে ঐশী ভৌতিক প্রথম, সানুউ মারমা দ্বিতীয় এবং কে এম ইশতিয়াক রহমান তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। আবৃত্তিতে রুবাইয়াত তাজবীন প্রথম, বিল্লাল হোসেন স্বাধীন দ্বিতীয় এবং অন্তা চাকমা তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। এছাড়াও নৃত্যে রুমা রানী দেব প্রথম, সুবর্না মোস্তফা দ্বিতীয় এবং সাদিয়া সুলতানা তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। নাটকে ‘চিত্রাঙ্গদা’ নাটকের দল প্রথম এবং ‘গুজব’ নাটকের সদস্যরা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন।
পরবর্তীতে সাফায়িত সিফাতের সঞ্চালনায় এবং ইশতিয়াক আহমেদের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। আরও উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সিসিডিএর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মুহাম্মদ লুৎফর রহমান, উদীচীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা জেলার সভাপতি ফরিদ উদ্দিন এবং ডিস্ট্রিক্ট কালচারাল অফিসার জনাব আয়াজ মাহবুব।
সিসিডিএর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, “সিসিডিএ গত তিনবছর ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচার অনুষ্ঠানগুলোর সাথে জড়িত আছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের মজ্জার সাথে মিশে গেছে। আশা করি আমাদের সংগঠন যতোদিন থাকবে আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করে যাবো।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য স্কিল, গুণ অর্জনের আগ্রহ জন্মাবে। আর এই আগ্রহ শিক্ষার্থীদের সামনে যে চ্যালেঞ্জিং বিশ্ব আসছে সেটাতে টিকে থাকতে সহযোগিতা করবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এফ এম আবদুল মঈন বলেন, শিক্ষার্থীদের এই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডগুলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব। এই সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ভিশন আছে সেটি অর্জনে ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন
এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে: বেরোবি উপাচার্য
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা