জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ বয়ে যাওয়া ঝড়ে দেড় শতাধিক বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে বসত ঘর ভেঙে যাওয়ায় অনেক দরিদ্র পরিবারের লোকজন গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও ঝড়ে গাছ ভেঙে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে পড়ে যাওয়ায় উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। উপজেলার কুলাউড়া সদর, টিলাগাও, হাজীপুর, পৃথিমপাশা জয়চণ্ডী ও রাউৎগাঁও ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামে বাঁশ ও টিনের তৈরী দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি ঝড়ে উপড়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হোন নিম্ন আয়ের দেড় শতাধিক পরিবার। একমাত্র মাথাগোঁজার ঠাঁই ঘর ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায় তাঁদের এখন খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হবে।
টিলাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালিক জানান, ঝড়ে আমার ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রাম, বালিয়া, নয়নপুর, শাহপুর ও আমানীপুর গ্রামে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিকেল তিনটা পর্যন্ত খবর পেয়েছি ১২ টি পরিবারে টিন ও বাঁশের কাঁচা ঘর পুরোটাই ঝড়ে উপড়ে গেছে। এ ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুলাউড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান জানান, আমার ইউনিয়নের ২, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ঝড়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। প্রায় ৫০ টি বসত ঘরের টিনের চাল ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এসব মানুষেরা এখন খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে।
জয়চণ্ডী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহাবুব জানান, তাঁর এলাকার ১২ টি বসতঘরের টিনের চালা ঝড়ে উড়ে গেছে।
কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মো: মুহিবুল ইসলাম আজাদ বলেন, তাঁর এলাকায় ১০-১২ টি বসতঘরের টিনের চালা ঝড়ে উড়ে গেছে৷
কুলাউড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শিমুল আলী জানান, ঝড়ে যেসব এলাকায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেইসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি