জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার :
৭৫-এর সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা কেউ নিজেকে পরিচয় দিতে পারতো না। আমরা সে সময় পশুর সমান ছিলাম বলে মন্তব্য করেছেন কুলাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশীল চন্দ্র দে। ৪ জুলাই সোমবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম ফরহাদ চৌধুরীকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধে গেছে লেংটিপড়া, গামছা পড়া সাধারন মানুষজন। দেশের জন্য তারা অনেক সংগ্রাম করেছেন। অনেকে আত্মত্যাগ ও নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। সেই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তাদের সম্মানী ভাতা তিনশত টাকা থেকে বিশ হাজার টাকায় উত্তীর্ণ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরবাড়িও নির্মাণ করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি সরকারি অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করেছেন। সেই শেখ হাসিনার সরকারের ক্ষমতায় এমন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই যারা আমাদের কথা বুঝে। পূর্বে অনেক কর্মকর্তা অনেক এসেছেন তাদের সাথে কথা বলা মুশকিল হয়ে যেত। কিন্তু গত তিন বছর আমরা মনের মতো একজন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ফরহাদ চৌধুরী) কে পেয়েছি। যার অফিসে সব মুক্তিযোদ্ধারা যাওয়া আসা করতে পেরেছেন। সহজে যে কোন সমস্যার সমাধান করতে পেরেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তিনি ছিলেন খুবই আন্তরিক।
ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী কুলাউড়া থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে সুনামগঞ্জ জেলায় বদলী হওয়াতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে সোমবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্টানে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা মনের মতো কর্মকর্তা চাই যারা আমাদের কথা ধর্য্য ধরে শুনবে ও পাশে থাকবে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশীল চন্দ্র দে’র সভাপতিত্বে ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাসুক মিয়ার পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে অকুন্ঠ সহযোগীতা পেয়েছি। জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের সাথে কাজ করতে পেরে নিজেকে খুবই গর্বিত মনে করছি। তাদের সাথে কথা মিশতে পেরে আমারও অনেক ভালো লাগছে। জাতীর এ শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কথা আমার চিরকাল মনে থাকবে।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, ফারুক মিয়া, উম্মর আতিক, আজির উদ্দিন, রজব আলী প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও নিউনেশন প্রতিনিধি এম. মছব্বির আলী, ডেইলী ষ্টারের সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারা, সাপ্তাহিক আমার কুলাউড়ার সম্পাদক মো: জীবন রহমান, কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মাহফুজ শাকিল, সাংবাদিক জিয়াউল হক জিয়াসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।
আরও পড়ুন
বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি
চুয়াডাঙ্গায় রাতে বৃষ্টি দিনে সূর্যের চোখ রাঙানি, রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে ‘ভিত্তিহীন’ তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশের