November 23, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, October 20th, 2022, 11:57 am

কুলাউড়ায় মেয়রসহ দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার মেয়রসহ দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একটি পরিবারের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই পরিবারের সদস্যরা ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কুলাউড়া পৌর শহরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগের কথা তুলে ধরেন।

বেলা তিনটার দিকে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। এ সময় পৌর শহরের বিহালা এলাকার বাসিন্দা সুমি আক্তার বলেন, তাঁদের বাবা কুতুব আলী ২০০৯ সালে মারা গেছেন। বিহালায় তাঁদের বাবার ৬৫ শতকের বাড়ি রয়েছে। তাঁরা চার বোন। বাবার মৃত্যুর পর থেকে তাঁরা বাবার সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছেন। তাঁদের বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে প্রায় চার ফুট দূরত্বে বেশ আগে প্রায় সাত ফুট উচ্চতা ও ১০০ ফুট লম্বা পাকার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। সুমি আক্তার অভিযোগ করেন, গত ১৯ অক্টোবর দুপুরে পৌরসভার মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লোকমান হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলার সুফিয়া বেগমের উপস্থিতিতে অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন লোক রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য সীমানাপ্রাচীরটি ভেঙে ফেলেন। সীমানা প্রাচীর ভাঙার জন্য আগে তাঁদের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। এতে তাঁদের প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সুমির অপর তিন বোন রায়না বেগম, লাইলুন বেগম ও মুন্না বেগম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার লোকমান আলী জানান, পৌরসভার নতুন ম্যাপ অনুযায়ী রাস্তার ওপর সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। তাই, ড্রেনের জন্য এটি ভাঙা হয়েছে।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামরুল হাসান জানান, প্রকল্পের কাজ জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। ড্রেনটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। বিহালা এলাকার ঠান্ডা মিয়ার বাড়ি থেকে কুতুব মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত ড্রেনটি নির্মাণ হবে।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিহালা এলাকায় পানি নিষ্কাশন ও জলাবদ্ধতার নিরসনে ‘নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় ১৫০ মিটার দীর্ঘ ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে কাজ সম্পন্নের কথা। কুতুব আলীর পরিবারের সদস্যরা পৌরসভার অনুমোদন ছাড়া সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ফেলেন। ওই প্রাচীরের কারণে ড্রেনের কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। প্রাচীর ভাঙতে মালিকপক্ষকে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু, তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি। তাই, প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়।