জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ইলাশপুর গ্রামের তরুন মো. সাবিক। বাবার সাথে লড়ছেন জীবন সংগ্রামে। উপজেলার কুশিয়ারা নদীতে পালন করছেন প্রায় ৮শ হাঁস।শীতকালে নদীর পানি কমে যাওয়ার সুবিধায় উন্মুক্তভাবেই হাঁস পালন করে গড়ে তুলেছেন অস্থায়ী খামার। প্রতিদিন হাঁসগুলোর দেখাশোনা ও পরিচর্যা করছেন তিনি। কিছুদিন আগে ডিম দিয়ে নির্দিষ্ট বিরতি পরে আবারো ডিম দেওয়া শুরু করেছে খামারের হাঁস। ইতোমধ্যে ৫০টি হাঁস নতুন করে ডিম দিচ্ছে। টলটলে কুশিয়ারা নদীর পানিতে উন্মুক্ত শত শত হাসের জলকেলি দেখতে ভিড় জমান পথচারীরাও।
সাকিব জানান, নদীর প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি হাঁসগুলোকে খাওয়াতে হয় ক্রয় করা খাবার।
প্রায় ২০দিনে ৬০ হাজার টাকার খাবার কিনতে হয় হাঁসের জন্য। আগে তিনি খরচ চালাতে পারলেও বর্তমানে অর্থ সংকটে পড়েছেন। পুরো পরিকল্পনার ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কায় আছেন তিনি। তিনি জানান, সরকারি সহায়তা পেলে এই খামারকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার প্রানী সম্পদ অফিসের মাঠ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসালাম বলেন, এই খামারি তালিকাভুক্ত নন। কিছুদিন আগে সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।তিনি তালিকায় না থাকায় দেওয়া যায়নি। আগামী সহায়তা আসলে ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি