April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, March 21st, 2022, 8:39 pm

কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৪ আসামির আমৃত্যু ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় চার আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড,চার জনের যাবজ্জীবন ও ছয় জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থ দণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌশুলী (পিপি) এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর গ্রামের হোসেন রানা, একই গ্রামের ওয়াসিম রেজা ও ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার কাটদাহ গ্রামের মানিক জোয়ার্দ্দার।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মিরপুর উপজেলার বালিদাপাড়া মশান গ্রামের ইদ্রিস ওরফে মোটা জসিম, খন্দকার তৈমুল ইসলাম বিপুল, নূর বিশ্বাসের ছেলে ফারুক, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মতিমিয়া রেলগেট চৌড়হাস এলাকার উল্লাস খন্দকার, উদিবাড়ী এলাকার মনির, পূর্ব মজমপুরের বিপুল চৌধুরী, দৌলতপুর উপজেলার পচা ভিটা গ্রামের আ. মান্নান মোল্লা। এদেরকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রমাণ হওয়ায় আরও ছয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলার শার্শা থানা এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে এক নারীর সম্পর্ক গড়ে ওঠার জের ধরে ২০০৯ সালের ২৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীর ও তার ভাইসহ মোট চারজনকে ডেকে এনে অপহরণ করে দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর গ্রামে আটকে রাখা হয়। পরে সবার বাড়িতে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরের ভাই অপহরণকারীদের কবল থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পরে অপহরণের প্রমাণ লোপাট করতে ২৫ নভেম্বর রাতে আসামিরা জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুলসহ তিন অপহৃতকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখে।

এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর দৌলতপুর থানায় জাহাঙ্গীরের বড় ভাই ইলিয়াছ কবির বকুল বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। প্রসঙ্গত আসামিদের বিরুদ্ধে অপর দুটি হত্যা মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।

—-ইউএনবি