অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের করা তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে ‘বনধ’ পালন করছে কৃষি সংগঠনগুলো। এসব আইন কৃষি খাতকে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন করে ফেলবে বলে অভিযোগ কৃষকদের। কৃষিখাত উদারীকরণের লক্ষ্যে ওই আইনগুলো করার এক বছর পর গতকাল সোমবার ফের দেশজুড়ে ‘বনধ’-এর ডাক দিয়েছে তারা। কৃষকরা এমএসপি বা নূন্যতম সমর্থন মূল্যের ওপর সাংবিধানিক নিশ্চয়তার জন্য চাপ দিচ্ছেন। খবর এনডিটিভি ও রয়টার্সের। কৃষকদের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ৪০টিরও বেশি কৃষক ইউনিয়নের সংগঠন সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা জনগণকে স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই বনধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই আইনের বিরোধিতা করে লাখো কৃষক ১০ মাস ধরে রাজধানী নয়াদিল্লির আশপাশের প্রধান মহাসড়কগুলোতে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এই প্রতিবাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে চলমান সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘বৃহৎ বেসরকারি করপোরেশনগুলোকে সুবিধা দিতে করা আইনগুলো বাতিল করার বিষয়টি সরকারের মনে করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশজুড়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালান করা হচ্ছে। ধর্মঘট নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন জেলায় হাজার হাজার কৃষক অবস্থান নিয়েছে। তারা জাতীয় মহাসড়কগুলোর কিছু অংশে গাড়ি চলাচল করতে দেবে না বলে জানিয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেয় তারা। কৃষকরা পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমান্তও অবরোধ করে রেখেছে। তারা জানিয়েছে, এদিন সারা দেশজুড়ে সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, দোকান, শিল্প কারখানা ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা বনধের আওতার বাইরে থাকবে। পাঞ্জাবে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি নভজোত সিং সিধু দলীয় কর্মীদের কৃষকদের প্রতিবাদে সমর্থন জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তর প্রদেশের বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মায়াবতী জানিয়েছেন, তার দল শান্তিপূর্ণ ‘ভারত বনধ’-এ সমর্থন দেবে। জাতীয় কংগ্রেস তাদের সব কর্মী, রাজ্য ইউনিটগুলো প্রধানদের এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রধানদের ভারত বনধে অংশ নিতে বলেছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু